× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধ্বংসের মুখে ঐতিহাসিক গজনী দুর্গ নেপথ্যে আফগান সরকারের উদাসীনতা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুন ১৬, ২০১৯, রবিবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন

আফগানিস্তানের প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো এক ঐতিহাসিক দুর্গের গুরুত্বপূর্ণ টাওয়ার ধসে পড়েছে। ইতিহাসসমৃদ্ধ শহর গজনীতে অবস্থিত ওই দুর্গের টাওয়ার ধসে যাওয়ার পর ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষায় আফগান সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বেশির ভাগ ঐতিহাসিক স্থাপনাই ইতিমধ্যে পুরোপুরি কিংবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মহামূল্যবান এ সমপদ রক্ষায় আফগান সরকার বরাবরই ব্যর্থ হয়ে আসছে। গত কয়েক বছরেই দেশটিতে ওই দুর্গের ১৪টি টাওয়ারই ধসে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
ইতিহাসখ্যাত গজনী দুর্গে একসময় ৩৬টি টাওয়ার ছিল। কিন্তু সরকারের অবহেলা ও যুদ্ধের কারণে এর ১৪টি পুরোপুরি ধসে পড়েছে। বাকিগুলোর অবস্থাও শোচনীয়।
গজনী দুর্গকে বলা হয় আফগানিস্তানের সব থেকে আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা। এই দুর্গ আফগানিস্তানের বৌদ্ধ শাসন থেকে শুরু করে ইসলাম আগমনের পূর্বেকার গুরুত্বপূর্ণ সময়ের স্বাক্ষর বয়ে বেড়াচ্ছে। গজনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার এই টাওয়ারটি ভারী বৃষ্টির কারণে ধসে পড়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা দাবি করেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অবহেলার কারণেই রক্ষা করা যাচ্ছে না গজনী দুর্গ। গোলাম সাকি নামের এক স্থানীয় রয়টার্সকে জানান, সরকার এ ধরনের স্থাপনাকে একদমই গুরুত্ব দেয় না। বন্যার পানিতে এই দুর্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা আলাদা খাল খনন করে দুর্গ বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। গজনীর সংস্কৃতি ও তথ্য বিষয়ক পরিচালক মাহবুবুল্লাহ রাহমানি বলেন, তালেবানের হামলার কারণে এই দুর্গের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টি। এসব কারণেই এই দুর্গকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর