× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘন্টায় ৩৯ পেন্সের মজুরিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের তৈরি টিশার্ট ২০ পাউন্ডে বিক্রি করছে লিভ.ইইউ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুন ১৬, ২০১৯, রবিবার, ১:১০ পূর্বাহ্ন

ঘন্টায় ৩৯ পেন্স মজুরির বিনিময়ে বাংলাদেশী শ্রমিকদের হাতে তৈরি টি-শার্ট বৃটেনে ‘লিভ ডট ইইউ’ প্রচারণাকারীরা বিক্রি করছে ২০ পাউন্ড দামে। নতুন ব্রেক্সিট পার্টি নেতা নাইজেল ফারাজের প্রচারণায় তহবিল সংগ্রহের জন্য এ কাজ করা হচ্ছে। লিভ. ইইউ (খবধাব.ঊট) বৃটেনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা চাইছে বৃটিশদের কাছে তাদের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে আনতে। ইউরোপিয়ান নির্বাচনে নাইজেল ফারাজে ভাল ফল করার পর তাকে ৪ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড দান করেছেন বিতর্কিত ধনকুবের অ্যারোন ব্যাংকস। নাইজেল ফারাজে এক সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বৃটেনের কর্মসংস্থান হবে বৃটিশ নাগরিকদের জন্য।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি কারখানায় তৈরি হয়েছে লিভ.ইউ লেখা টি-শার্ট। তা তৈরি করিয়েছে কানাডার টি-শার্ট বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গিলদান।
দারিদ্র্য বিরোধী প্রচারণাকারীরা বলছেন, এসব কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেয়া হয় জীবন ধারনের মানের চেয়ে কম। একজন জুনিয়র মেশিন অপারেটরের এক মাসের স্থানীয় সর্বনিম্ন মজুরি প্রায় ৭৩.৮৫ পাউন্ড। তারা এই হারে মজুরিতে সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ করেন। অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় তাদের মজুরি পড়ে ৩৯ পেন্স। এসব অপারেটরের পক্ষে প্রচারণাকারীরা বলছেন, তাদের স্বস্তিকর জীবনযাপনের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা হলো ১৪৯ পাউন্ড। কিন্তু তারা পাচ্ছেন তার চেয়ে অনেক কম।

বাংলাদেশে পোশাক উৎপাদন নিয়ে মাঝে মাঝেই মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো সমালোচনা করে থাকে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে ১১৩০ জন মানুষ মারা যান। তার মধ্যে বেশির ভাগই গার্মেন্ট শ্রমিক।

নাইজেল ফারাজে লিভ.ইউ প্রচারণার পাশাপাশি ২০১৬ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে আসার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তখন তাকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছিলেন অ্যারোন ব্যাংকস। ওই বছরের পরের দিকে সাবেক ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজে ইউকিপ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তিনি ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের একজন সদস্য থেকে যান। এ বছর মার্চে নতুন দল ব্রেক্সিট পার্টি নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেন। তাকে বছরের বাকি সময় জীবনধারণের খরচ হিসেবে ৪ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড দিয়েছেন লিভ.ইউ-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যারোন ব্যাংকস। কিন্তু এ কথাটি ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাছে প্রকাশ করা হয় নি। ফলে এ মাসে ওই অর্থ দানের বিষয়ে শুনানিতে ফারাজেকে তলব করে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট। তাতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। বলেন, যখন তাকে ওই অর্থ দেয়া হয়েছিল তখন তিনি রাজনীতি প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে জীবন যাপন করা শুরু করেছিলেন। তাই তিনি এ বিষয়টি প্রকাশ করার প্রয়োজন মনে করেন নি। তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি কোনো অর্থ গ্রহণ করেন নি।

জবাবে অ্যারোন ব্যাংকস বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ফারাজেকে সহায়তা করতে অর্থ দিয়েছিলেন এবং তা দিতে পেরে তিনি সম্মানীত হয়েছেন। এই অর্থ তাকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তিনি রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।
কিন্তু তাদের প্রচারণা লিভ.ইউ’তে বাংলাদেশী টি-শার্টের বিষয়ে জানতে চাইলে এর মুখপাত্র অ্যান্ডি উগমোর বলেন- তাতে কি হয়েছে? আমরা ইন্টারন্যাশনালিস্টস। আমরা ক্ষুদ্র ইউরোপিয়ান নই। আমরা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে সমর্থন করতে ভালবাসি।
শনিবার গিলাদান প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র বলেছেন, ২০১০ সাল থেকে তাদের প্রতিষ্ঠান ঢাকায় তাদের পোশাক সরবরাহকারীদের কারখানার উন্নয়নে প্রায় ২ কোটি পাউন্ড খরচ করেছে। এ কারখানায় কাজ করেন ৩৫০০ শ্রমিক। সেখানে শুধু শিক্ষানবিশরা সর্বনিম্ন মজুরি পান, যা শিল্প খাতে সর্বনিম্ন বেতনের সামান্য বেশি। আর প্রত্যেক্যেই পান ইনক্রিমেন্টাল সুবিধা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর