চাঁপাই নবাবগঞ্জে অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া আলাদা দুটি মামলায় ৬ জেএমবি সদস্যকে ১০ বছর করে কারাদাণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী আসামিদের উপস্থিতি এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরমোহনপুরের সেলিম ওরফে হারুন মিস্ত্রি, শিবগঞ্জ উপজেলার সমজোলা গ্রামের আবদুর রাকিব ওরফে সুমন, ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভূজা গ্রামের রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, খড়গপুরের রমজান আলী, গোমস্তাপুর উপজেলার কয়লাদিয়াড় গ্রামের আবদুল মুমিম ওরফে আবদুল্লাহ, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পরাণপুর গ্রামের হযরত আলী ওরফে ফিরোজ কবীর। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা জানান, ২০০৯ সালের ১৭ই জুন পুলিশের একটি বিশেষ দল ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভূজা গ্রামের রবিউলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওইদিনই একই উপজেলার খড়গপুর গ্রামের রমজান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শ্যুটার গান, তিনটি গুলি ও জিহাদী বই উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটকরা চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার জেএমবিকে নতুন করে সংগঠিত করছিল।
এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান ভোলাহাট থানায় অস্ত্র ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি আলাদা মামলা দায়ের করেন। ২০০৯ সালের ১২ই আগস্ট এসআই ওহেদুজ্জামান এবং ২০১৬ সালের ৩০শে মার্চ এসআই আব্দুল মজিদ মামলা দুটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।