× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যৌন সুবিধা চাওয়া পুরুষের সংখ্যা অগণিত: ম্যাডোনা

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
১৭ জুন ২০১৯, সোমবার

বোমা ফাটালেন পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা।  যেমন তার গায়কী, তেমন অভিনয়। আর চোখের চাহনিতে আছে জাদু। যেভাবে নিজেকে প্রকাশ করেন তিনি তাতে বিশ্বজুড়ে তার কোটি কোটি ভক্ত। কিন্তু তার মধ্যে অনেকেই তার প্রতি আবিষ্ট হয়ে পড়েন। একান্তে কাছে পেতে চান। সে কথাটিই অনেক পরে এসে প্রকাশ করলেন ম্যাটেরিয়াল গার্ল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ম্যাডোনা। তিনি বললেন, তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যৌন সুবিধা নেয়ার জন্য কত পুরুষ যে টোপ ফেলেছিল তার কোনো হিসাব নেই। তাদের সংখ্যা এত যে, তিনি তা সংখ্যায় গণনাও করে রাখেন নি।
ম্যাডোনা বলেছেন, তারা তার ক্যারিয়ারের শুরুর বছরগুলোতে তাকে সামনে এগিয়ে দেয়ার বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব করেছিলেন। নিজের মুখে তিনি এসব কথা স্বীকার করেছেন। গার্ডিয়ানকে তিনি বলেছেন, আমি আপনাকে বলতে পারবো না যে, কত পুরুষ আমাকে বলেছিলেন ওকে, তুমি যদি আমাকে (আপত্তিকর শব্দের ব্যবহার) সুবিধা দাও অথবা ওকে তুমি যদি আমার শয্যাসঙ্গিনী হও তাহলে তোমার ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে দেবো। এখানে বাণিজ্যে টিকে থাকার অবলম্বন হলো  সেক্স, তুমি তা জানো?
ম্যাডোনা মনে করেন সংগীতের সঙ্গে যেসব নারী আছেন তারা জীবনের সব কিছুকেই খোলামেলাভাবে দেখেন এবং প্রকাশ করে দেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি এ নিয়ে তেমন কোনো মুভমেন্ট বা আন্দোলন হয় নি। কারণ, আমরা এমনিতেই আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোকে প্রকাশ করে দেই। আমি আশা করি, সংগীত জগতে অনেক নারী আসবেন, যারা হবেন অধিক রাজনৈতিক সচেতন ও জীবনের সব প্রকাশ করে দেবেন। এক্ষেত্রে শুধু যৌনতায় অসমতায় সীমাবদ্ধ থাকবে না সব। ম্যাডোনার আদালত থেকে মুক্তি পান নি হলিউড মুঘল বলে পরিচিত প্রযোজক হারভে উইন্সটেন। তিনিও তার কাছে সুবিধা চেয়েছিলেন। এ মাসের শুরুর দিকে ম্যাডোনা স্বীকার করেছেন হারভে উইন্সটেন সীমা অতিক্রম করেছিলেন। তখন ১৯৯১ সালে ম্যাডোনার ‘ট্রুথ অর ডিয়ার’ ডকুমেন্টারি নিয়ে কাজ করছিলেন উইন্সটেন। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনকে ম্যাডোনা বলেন, হারভে লাইন্স ও বাউন্ডারিজ অতিক্রম করেছিলেন এবং অশালীন যৌনতায় মগ্ন ছিলেন এবং আমার দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন। তখন আমরা একসঙ্গে কাজ করছিলাম। আর হারভে ছিলেন তখন বিবাহিত। কিন্তু তার আহ্বানে আমি মোটেও আগ্রহী ছিলাম না। আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম যে, তিনি আরো অনেক নারীর সঙ্গে একই কাজ করেছেন, ওইসব নারীকে এ শিল্প জগতে আমি জানি ও চিনি। হারভে উন্সটেন এটা করতে পেরেছিলেন। কারণ, তার তখন বিপুল ক্ষমতা এ শিল্পে এবং তিনি বেশ সফল ব্যবসায়। তার নির্মিত ছবি একের পর এক ভালো যাচ্ছিল। সবাই চাইছিল তার ছবিতে, তার সঙ্গে কাজ করতে। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছেন তিনি। ম্যাডোনার নতুন স্টুডিও অ্যালবাম ‘ম্যাডাম এক্স’ প্রকাশনা উপলক্ষে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। ১৪তম এই অ্যালবামটি এরই মধ্যে বাজারে আসার কথা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর