× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাজেটে আরো ২ শতাংশ প্রণোদনা চায় বিজিএমইএ

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৭ জুন ২০১৯, সোমবার

প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এক শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। পোশাক খাতের এই এক শতাংশ প্রণোদনায় সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এর সঙ্গে আরো ২ শতাংশ যোগ করে মোট ৩ শতাংশ প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক। এ সময় সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচিসহ সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের পোশাক খাত এখনো দুর্বল, যদিও দেশের অর্থনীতির সিংহভাগই টিকে আছে এই খাতের ওপর। বিজিএমইএ’র দাবি করা ৫ শতাংশের জায়গায় অন্তত তিন শতাংশ প্রণোদনা দিলে বর্তমান বিরূপ পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে পোশাক খাত। এছাড়া রপ্তানি মুল্যের বিপরীতে ডলারের দাম টাকার বিপরীতে অবমুল্যায়নের দাবি বিবেচনায় সরকারের কাছে আবারো আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, এখন তৈরি পোশাকের ৪টি খাত ৪ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা পাচ্ছে। আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাকি সব খাতের জন্য ১ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আরো ২,৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাকে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি নেই। গড়ে ৫ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি রয়েছে। গত এক মাসে আমরা ৩০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। ঈদের আগে অনেকে মেশিন বিক্রি করে বেতন দিয়েছেন। তাই যারা বলেন পরিপক্ব ও ম্যাচিউরড ইন্ডাস্ট্রি, প্রণোদনা ও ভর্তুকির দরকার নেই- এটা ঠিক নয়, এটার দরকার আছে? ড. রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রণোদনা বাড়ানো দরকার। গত কয়েক বছরে আমরা সর্বোচ্চ ৮০০ কোটি টাকার প্রণোদনা উঠিয়েছি। নানা রকম ঝামেলার কারণে অনেকেই ইনসেনটিভ নেন না। নতুন বাজারের ক্ষেত্রে প্রণোদনা বাড়ানো উচিত। পোশাক মালিকদের এ নেতা বলেন, কৃষকের সঙ্গে মালিকের তুলনা করা চলে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গেলে আমাদের মনে হয় শিশু। দুর্বল শিশুর অবস্থানে চলে এসেছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রণোদনা অন্তত ৩ শতাংশে উন্নীত করার দাবি করছি। পোশাক কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতে ভ্যাট অব্যাহতির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, অগ্নিনিরাপত্তার ৮টি উপকরণে শুল্ক কমানোর কথা বললেও ৫টিতে কমানো হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ রাখার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা রাখা হয়নি। এ খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি। এক প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, এক শতাংশ প্রণোদনা পেয়েছি, তাই এবারের বাজেটে ৭০ ভাগ খুশি। আমরা অন্তত ৩ শতাংশ প্রণোদনা চাই। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণমুখী বলেছিলাম। আমি এখনও আগের অবস্থানেই আছি। এটি ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক বাজেট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর