একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গণহত্যা, হত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সুনামগঞ্জের ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গতকাল ধানমণ্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনটি ভলিউমে মোট ১৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সুনামগঞ্জের শাল্লার বাসিন্দা মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন মনির (৬২), মো. জাকির হোসেন (৬২), মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬১), মো. তোতা মিয়া টেইলার (৮১) কারাগারে রয়েছেন। আর কারাগারে থাকা আসামি মো. আবদুল জলিল (৭১) ও মো. আব্দুর রশিদ (৬০) একই জেলার দিরাইয়ের বাসিন্দা। অন্য ছয় আসামি এখনো পলাতক। গ্রেপ্তারের সুবিধার্থে পলাতক ছয়জনের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করা হয়নি। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান জানান, আসামি জুবায়ের মনির বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত। আসামি জাকির হোসেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা শাখা বিএনপির সহ-সভাপতি।
আসামি আবদুল জলিল এর আগে বিএনপির সমর্থক থাকলেও বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। আর আসামি সিদ্দিকুর রহমান, তোতা মিয়া টেইলার ও আব্দুর রশিদ বর্তমানে বিএনপির সমর্থক। তদন্ত সংস্থার সহ-সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, ‘কারাগারে থাকা আসামি জুবায়ের মনির প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন এবং আমাদের দেশের আইনেই তার বিচার হবে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২১শে মার্চ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা নুর হোসেন। প্রতিবেদনে ওই কর্মকর্তাসহ ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।