× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যাত্রী সেজেই ওরা ছিনতাই করতো অটোরিকশা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার

যাত্রী সেজে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল ভোরে ঢাকার দারুসসালাম, ডেমরা ও দক্ষিণখান এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. হারুন অর রশিদ (২৮), মো. রুহুল আমিন (৩৬), মো.জামাল হোসেন (৬০), মো.  সোহেল খাঁ (৪০), ওয়ালী উল্লাহ (২১) ও মো.রশিদ খান (৪৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই সিএনজি ও কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল কাওরান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা যাত্রী সেজে সিএনজি ভাড়া করে নির্জন স্থানে নিয়ে চালককে মারধর করে। পরে চালককে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে সিএনজি নিয়ে চলে যায়। আরেকটি চক্র আছে যারা রাস্তার পাশের চায়ের বা শরবতের দোকানের পাশে সিএনজির জন্য অপেক্ষমান থাকে।  কোন সিএনজি চালক যখন তার তৃঞা মেটানোর জন্য এসব দোকানে যায় তখন ছিনতাইকারীরা ওই চালকদের টার্গেট করে।
কৌশলে তারা চা বা শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয়। পরে ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যরা এসে ওই চালককে ভাড়া করে নিয়ে যায়। কিছুদুর যাওয়ার পর যখন চালক অজ্ঞান হয়ে যায় তখন চালককে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে সিএনজি ও তার পাশে থাকা মোবাইল, টাকা ও গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে যায়। ছিনতাই করা সিএনজি তাদের নির্ধারিত স্থানে রেখে দেয়। পরবর্তীতে কাগজপত্র দেখে সিএনজির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে সিএনজি ফিরিয়ে দেয়। মঞ্জুরুল কবির বলেন, এছাড়া ঢাকা শহরের কিছু সিএনজি চালকরা মালিকের কাছে থেকে সিএনজি নিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে যোগসাজোশ করে। অসুস্থতার ভান করে ওই চালক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মালিককে ফোনে জানায় ছিনতাইকারীরা সিএনজি নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে চক্রের অন্য সদস্যরা মালিকের কাছে ফোন দিয়ে বলে তাদের কাছে সিএনজি আছে। টাকা দিয়ে যেন সিএনজি নিয়ে যায়। প্রতিটা সিএনজির জন্য ৬৫ হাজার থেকে এ লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হয়। চাহিদামত টাকা পরিশোধ করা হলে নির্জন কোন স্থানে সিএনজি রেখে মালিককে ঠিকানা জানিয়ে দেয়া হয়। তবে টাকা নেয়া ও সিএনজি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ছিনতাইকারীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে। ঢাকা শহর সিএনজির জন্য নিরাপদ নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এজন্য সিএনজির মালিক ও চালকদের সচেতন হতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর