বরগুনায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দ-প্রাপ্ত আসামি হলেন, বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভার ফেরিঘাট এলাকার মো. সুলতান তালুকদারের ছেলে সেন্টু। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর আসামি মো. ইউনুসকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০ বছর আগে আবদুল মান্নানের মেয়ে মাসুমা বেগমের সঙ্গে সেন্টুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মাসুমার কাছে সেন্টু এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। যৌতুক না পেয়ে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি।
২০১৩ সালের ২৮শে আগস্ট সকাল ৬টায় সেন্টু এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মাসুমার কাছে। মাসুমা যৌতুক দিতে আবারও অস্বীকার করলে সেন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুমার চুলের মুঠি ধরে ভবনের ওয়ালের সঙ্গে মাথায় আঘাত করে। এতে মাসুমা গুরুতর আহত হয়ে পড়লে ইউনুসের সহায়তায় সেন্টু মাসুমার মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
এ ঘটনা মাসুমার সন্তান নাঈম তা দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে লোকজন জড়ো করলে স্থানীয়রা দ্রুত মাসুমাকে আমতলী হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনার পর মাসুমার বাবা আবদুল মান্নান বাদী হয়ে ওইদিন আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আমতলী থানার এসআই অরুন কুমার মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি ওই দু’জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।