বেশ কিছুদিন ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিলেন রশিদ খান। তাকে হঁটিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন সাকিব আল হাসান। এক সময়ে ওয়ানডে বোলিংয়েও শীর্ষে ছিলেন এই আফগান লেগ স্পিনার। তার ব্যাটিং নিয়ে সংশয় থাকলেও বোলিংটা বিশ্বমানের তাতে প্রশ্ন নেই কারো। উড়তে থাকা এই বিশ্বমানের লেগস্পিনারকে গতকাল মাটিতে নামিয়ে আনলো ইংল্যান্ড। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বেধড়ক পিটুনিতে এক লজ্জার রেকর্ডে নাম বসালেন রশিদ খান। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে চলতি বিশ্বকাপের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৯৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইনিংসে নিজের পূর্ণ ১০ ওভারের কোটা শেষ করতে পারেননি রশিদ।
৯ ওভার বল করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১১০ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেট শূন্য। এই ৫৪ বলের মধ্যে ১৮টি ডট বল করলেও, বাকি ৩৬ বলে হজম করেছেন ১১টি ছক্কা ও ৩টি চার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ইনিংসে তার চেয়ে বেশি রান খরচ করেননি আর কোনো বোলার। আর এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হজসের রেকর্ডও এটি। রশিদের ওপর সবচেয়ে বেশি ঝড় চালিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। মোট ১১টি ছক্কার মধ্যে ৭টিই এসেছে মরগানের ব্যাট থেকে। এছাড়া মঈন আলি ২ এবং জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো হাঁকিয়েছেন ১টি করে ছক্কা। এতদিন ধরে বিশ্বকাপে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান খরচের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের পেসার মার্টিন স্নেডেনের। ১৯৮৩ সালে ৬০ ওভারের বিশ্বকাপের আমলে তিনি ১২ ওভারে খরচ করেছিলেন ১০৫ রান। সেখানে ছিলো একটি মেইডেন ওভারও। রশিদ খানের আগে বিশ্বকাপে এক ইনিংসে শতরানের বেশি খরচ করার নজির ছিলো তিনজন বোলারের। এছাড়া সবধরনের ওয়ানডে ক্রিকেটে অল্পের জন্য লজ্জার বিশ্বরেকর্ড থেকে বেঁচে গিয়েছেন রশিদ। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মাইক লুইস ১০ ওভারে খরচ করেছিলেন ১১৩ রান। যেটি এখনও রয়ে গেছে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান খরচের তালিকার শীর্ষে।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলিং
নাম ওভার রান প্রতিপক্ষ সাল
রশিদ খান (আফগানিস্তান) ৯ ১১০ ইংল্যান্ড ২০১৯
মার্টিন স্নেডেন (নিউজিল্যান্ড) ১২ ১০৫ ইংল্যান্ড ১৯৮৩
জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ১০ ১০৪ দ. আফ্রিকা ২০১৫
দাওলাত জাদরান (আফগানিস্তান) ১০ ১০১ অস্ট্রেলিয়া ২০১৫
অশান্তা ডি মেল (শ্রীলঙ্কা) ১০ ৯৭ ও.ইন্ডিজ ১৯৮৭