× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্রাইম পেট্রোল দেখে খুন, অতঃপর...

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুন ২০১৯, বুধবার

কেরানীগঞ্জে জাকির হোসেন ও সাভারের ভাকুর্তায় মতিউর রহমান নামে দুই রিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ২৭শে মার্চ ও  ২রা এপ্রিল তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ৯ দিন পর একই থানায় ঝাউচরে মাইনুল নামের আরেক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সাভার থানায় দুটি এবং কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বকুল, রাসেল এবং তুষার নামে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে সাভার থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, রাসেল, তুষার আর বকুল তারা তিন জনই বন্ধু। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৫ থেকে ১৮-এর মধ্যে। তিনজনই সাভারের শ্যামপুর বাজার এলাকায় থাকতো।
১৫ দিনের ব্যবধানে দুই অটোরিকশা চালককে খুন করে এই তিন বন্ধু। আর হত্যার চেষ্টা চালায় আরো এক অটোরিকশা চালককে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনজনই স্বীকার করেছে, ভারতীয় টিভি চ্যানেলে ক্রাইম পেট্রল দেখে অটোরিকশা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে তারা।

এ বিষয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ মানবজমিনকে বলেন, কেরানীগঞ্জ ও সাভারে দুটি খুনের রহস্য আমাদের আজানা ছিল। পরে সাভারে আরেকজন চালককে কুপিয়ে আহত করে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আগের দুই খুনের রহস্য বেরিয়ে আসে। রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার ৭ দিন পরেই আমরা বকুল আর তুষারকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় রাসেল পলাতক ছিল। দুই দিন আগে রাসেলকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা আদালতে ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।

গত রোববার ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাসেল আদালতকে বলে, সে, তুষার এবং বকুল কেরানীগঞ্জের কদমতলী সেতুর কাছে যায়। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা ভাড়া করে। কিছু দূর যাওয়ার পর বকুল তাকে নির্দেশ দেয় চালককে আঘাত করতে। সে তখন চাকু দিয়ে আঘাত করে। পরদিন বকুল তাকে ২ হাজার টাকা দেয়।

বকুল আর তুষার বাল্যবন্ধু। দুজনের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার চরখুকশিয়া গ্রামে। প্রাইমারি স্কুলে তারা একই সঙ্গে লেখাপড়া করতো। কয়েক বছর আগে তুষার মায়ের সঙ্গে সাভারে চলে আসে। তার মা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন। সাভারে এসে তুষার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে শুরু করে। অটোরিকশা চালাতে গিয়ে পরিচয় হয় বকুলের সঙ্গে। বকুলও অটোরিকশা চালাতো। তার বাবা-মা দুজনে সাভারের শ্যামপুর বাজার এলাকার গার্মেন্টসে চাকরি করেন। বকুল আর তুষার দুই বছর ধরে অটোরিকশা চালিয়েছে। মাস ছয়েক আগে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসে রাসেল। তুষারের মাধ্যমে বকুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিন বন্ধুই ভাড়ায় অন্যের অটোরিকশা চালাতো। তারা এক সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিজেরাই এর মালিক হতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর