× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাবিতে সিনেটে ফের ভরাডুবি ভিসিজোটের

অনলাইন

জাবি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুন ১৯, ২০১৯, বুধবার, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটে আবারও ভারডুবি হয়েছে ভিসিজোটের। সিনেট সদস্য থেকে ভিসিজোট ১টি বিরোধী জোট ৪টি পদে জয় লাভ করে। অন্যদিকে সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভিসিজোট ১টি, বিরোধী জোট ১টি পদ লাভ করেন। একাডেমিক কাউন্সিল থেকে জয়ী সিন্ডিকেট সদস্যরা হলেন, সিদ্ধেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জুলহাস উদ্দীন। অপরজন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ  নেহাল আহমেদ (ভিসি বিরোধী সম্মিলিত জোট)। তিনি জাবির ইংরেজি ১৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।  

অন্যদিকে একই ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সিনেট সদস্যরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদুরা বিনতে হাবিব (ভিসিবিরোধী সম্মিলিত জোট), কিশোরগঞ্জের আরএস আইডিয়াল কলেজ কিশোরগঞ্জ অধক্ষ্য গুলশান আরা বেগম (ভিসিবিরোধী সম্মিলিত জোট), নেত্রকোণার  তেলিগাতি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন (ভিসিবিরোধী সম্মিলিত জোট), টঙ্গী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম (ভিসিবিরোধী সম্মিলিত জোট)। ভিসিজোট থেকে একমাত্র জয়ী প্রার্থী মানিকগঞ্জের আবদুর রউফ কলেজের অধ্যক্ষ  দেওয়ান আনিসুর রহমান।

এদিকে ভিসি, প্রো-ভিসিদ্বয়, ট্রেজারার, অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অধ্যাপক একাডেমিক কাউন্সিলর সদস্য।
সেইসঙ্গে ১০ জন মনোনিত ও ৬ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি থাাকে একাডেমিক কাউন্সিলে। যাদের ভোটে অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে দু’জন সিন্ডিকেট সদস্য ও পাঁচজন সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন অধ্যাপক শিক্ষাছুটিতে এবং ২৬০ জন কর্মস্থলে আছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৯৮ জন অধ্যাপক সরাসরি ভিসি সমর্থিত শিক্ষক পর্ষদের সাথে আছেন।

এদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও ভিসিজোটের ফের শোচনীয় পরাজয়ে আলোড়ন তৈরী হয়েছে। তবে প্রার্থী বাছাইয়ে চতুরতা ও নিজেদের প্রচারণার কারণে জয় পেয়েছে বিরোধীজোট। বিরোধীজোট প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে গুরুত্ব দিয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সাথে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।

অনুসন্ধান বলছে কলা ও মানবিকী অনুষদের ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছে ভিসিজোট। যার নেপথ্যে কাজ করেছে অনুষদের একজন প্রভাবশালী অধ্যাপক।

ভিসিজোটের একজন শিক্ষক নেতা জানান, শিক্ষকরা শুধু সুবিধা নিতে আসেন, ভোট দিতে আসেন না। আমরা সামান্য ব্যবধানে হেরেছি। অথচ আমাদের অনেক শিক্ষক ভোট দিতে আসতেই গড়িমসি করেছে।

ভিসিপন্থি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক মান্নান চেীধুরী বলেন, আমরা কেন হেরেছি এটা আলোচনার বিষয়। আমাদের অনেক শুভাকাঙ্খীর কাছে আমরা ঠিকমত পৌঁছাতে পারিনি। নির্বাচনে আমরা সিরিয়াস ছিলাম না। আমরা বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে প্রার্থী করেছি কারণ তাদের বদলি হওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে বিরোধীপক্ষ সরকারী কলেজের প্রার্থী ও সবার জানাশোনা প্রার্থী দিয়েছে এটাও একটা কারণ। ভবিষ্যতে আমরা সতর্ক থাকব।

এদিকে নির্বাচনে জিতে শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ভিসিবিরোধী ত্রিদলীয় সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই বিজয়কে ভিসির ‘লাগামহীন’ আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেন।

অন্যদিকে ৩০ (ডি) ধারা মতে একজন ডিন ক্যাটাগরিতে একজন অর্থ কমিটির জন্য নির্বাচিত করে একাডেমিক কাউন্সিল। সেই পদটি বর্তমানে শূন্য রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর