× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর তথ্য /পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলিতে জঙ্গী তৎপরতা চলছে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুলাই ৩, ২০১৯, বুধবার, ১২:১২ অপরাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলিতে জঙ্গী তৎপরতা চলছে। মঙ্গলবার লোকসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশণ রেড্ডি এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, গোয়েন্দারা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা থেকে জানা গেছে, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের কিছু মাদ্রাসাকে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)  নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। মাদ্রাসাগুলিতে পড়–য়াদের মগজধোলাই করে জেহাদের মন্ত্রে দীক্ষিত করার কাজ চলছে। রেড্ডি আরও অভিযোগ করেছেন, গোটা দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যের মাদ্রাসাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, জঙ্গী তৎপরতা সংক্রান্ত গোয়েন্দাদের দেওয়া রিপোর্ট  রাজ্যকে জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চারজনকে শিয়ালদহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এদের তিন জনই বাংলাদেশের। ধৃতদের কাছ থেকে আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু বাংলা প্রচার পুস্তিকাও পাওয়া গিয়েছে।
এর আগে মে মাসে জেএমবি-কে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, জেএমবি বাংলা, আসাম এবং ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করেছে। এদিকে বিহারের বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত আরেক জেএমবি জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা আবদুল রহিম নামের এই জেএমবি জঙ্গীকে গত সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাজেপ্রতাপুর চরকুম্ভ বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূল পান্ডা কাওসার ওরফে বোমা মিজানের অন্যতম সহকারী এই জঙ্গী। ধৃত আবদুল রহিম মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ থানা এলাকার ধুলিয়ানের বাসিন্দা। জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের ধুলিয়ান মডিউলের অন্যতম সদস্য সে। ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি বুদ্ধগয়ায় আইইডি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা এবং আইইডি বোমা রাখার অভিযোগে মূল পান্ডা কাওসারকে এনআইএ গ্রেপ্তার করে ব্যাঙ্গালুরু থেকে। আর নুর মুহাম্মদসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। প্রথমে মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিংয়ের ফাঁসি দেওয়া থেকে প্রথমে পয়গম্বর শেখ এবং জামিরুল শেখ নামে দুই জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে গ্রেপ্তার করা হয় শিষ মুহাম্মদ নামে এক জঙ্গিকে। সেই জেরার সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয় চতুর্থ জঙ্গি আহমেদ আলিকে। পঞ্চম জঙ্গি হিসেবে ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদের নুর মুহাম্মদ। গোয়েন্দাদের দাবি, এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছে এই জঙ্গি সংগঠন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর