× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের জন্য আধুনিক সাবমেরিন তৈরি করবে রাশিয়া

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুলাই ১৩, ২০১৯, শনিবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন

ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের প্রচলিত সাবমেরিন নির্মাণ করার দিকে নজর দিয়েছে রাশিয়া। ৮০ হাজার কোটি রুপির ওই সাবমেরিন চুক্তির চেষ্টা করছে দেশটি। সরকারি পর্যায়ে চুক্তির আলোকে যৌথভাবে নকশা প্রণয়ন ও উৎপাদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটরের খবরে বলা হয়, ভারত ছয়টি নতুন প্রচলিত সাবমেরিন নির্মাণের জন্য বহুল আলোচিত প্রজেক্ট ইন্ডিয়ার (পি৭৫১) জন্য ‘রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ আহ্বান করেছিল। দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকতে সক্ষম সাবমেরিন নির্মাণের শর্ত দেয়া হয়েছিল এতে। এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে যে চারটি দেশ, তার অন্যতম হলো রাশিয়া।
অপর তিন দেশ হলো- ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইডেন। ফ্রান্সের স্করপিয়নের চেয়ে ভালো কিছু ভারতের প্রয়োজন। এই বক্তব্য দিয়ে রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে সাবমেরিন নির্মাণের প্রস্তাবটি দিয়েছে।
ভারতীয় সাংবাদিকদের একটি দলকে ইউনাইটেড শিপবিল্ডিং করপোরেশনের সভাপতি আলেক্সি রাখমানভ বলেন, আমাদের নতুন এআইপি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে, ভারতকে সর্বোত্তম দুটির একটি বাছাই করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, সাবমেরিন নির্মাণের জন্য আন্তঃসরকারি ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে ভালো। ইউএসসি হলো শিপইয়ার্ডবিষয়ক রাশিয়ার একটি সংস্থা। পি৭৫১-এর আওতায় শর্ত দেয়া হয়েছে যে সাবমেরিনগুলো ভারতীয় শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করতে হবে। এলঅ্যান্ডটি শিপইয়ার্ড বা রাষ্ট্রীয় হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড লিমিটেড হতে পারে সম্ভাব্য অংশীদার। পি৭৫১ হবে ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের ৩০ বছরব্যাপী সাবমেরিন শক্তি অর্জনের একটি পরিকল্পনার অংশবিশেষ। ভারত আশা করছে, চীন ও পাকিস্তানের মোকাবিলায় তাদের ২৪টি সাবমেরিন বানানো দরকার। রাখমানভ বলেন, তারা ভারতের পরবর্তী প্রজন্মের সাবমেরিন নির্মাণের নকশা ও উৎপাদন যৌথভাবে করার প্রস্তাব দিয়েছে। রাশিয়া চায় তার নতুন লাদা ক্লাস সাবমেরিন অ্যামিরালটি শিপইয়ার্ডের আদলে নির্মিত শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করা হোক। তিনি বলেন, আমরা যে সাবমেরিনের কথা বলছি, সেগুলো ৪+ প্রজন্মের। এগুলোর উন্নত যোগাযোগ, অস্ত্র ও ক্রুদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এই তিন দিক বিবেচনা করলে স্করপিয়নের চেয়ে এসব সাবমেরিন অনেক উন্নত।
তিনি বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর স্করপিয়নের চেয়ে উন্নত সাবমেরিন প্রয়োজন। স্করপিয়ন গত শতকের শেষ দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। এসব সাবমেরিন ফরাসি নৌবাহিনীও আর ব্যবহার করে না। রাশিয়া আশা করছে, তারা সাবমেরিন নির্মাণের চুক্তিটি লাভ করবে। উল্লেখ্য, অ্যাডমিরাল্টি শিপইয়ার্ডে ভারতের জন্য ১৬টি সাবমেরিন নির্মিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৯৬৬ সালে ভারতের প্রথম ব্যবহার করা সাবমেরিনও রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর