× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অপহরণকারী চক্র থেকে যেভাবে বাঁচলো তাসলিমা

এক্সক্লুসিভ

লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার


 নিজের উপস্থিত বুদ্ধিতে মাইক্রোবাস থেকে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলো অপহৃত কিশোরী তাসলিমা আক্তার (১৩)। গতকাল ভোর ৬টায় কুমিল্লার লালমাইয়ের পেরুল থেকে অপহরণের পর পৌনে ৭টায় জামতলীতে সে লাফিয়ে পালায় । তাসলিমা উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের কাঁকসার মোল্লাবাড়ির কালামের কন্যা। সে একই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের নানাবাড়ি পেরুল চৌকিদার বাড়িতে থেকে ফয়েজগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে।
জানা যায়, শনিবার ভোর ৬টায় নানাবাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়ক সংলগ্ন খলিলপুর-পেরুল বাইতুন নূর জামে মসজিদ মক্তবে যাওয়ার সময় তাসলিমাকে বোরকা পরিহিত একজন মহিলা মুখে রোমাল দিয়ে চেপে ধরে অজ্ঞান করে কাল রংয়ের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ৭টায় একই উপজেলার জামতলী এলাকায় পৌঁছলে মাইক্রোবাস থামিয়ে অপহরণকারীদের একজন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। এ সুযোগে মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে তাসলিমা মাইক্রোবাস থেকে লাফিয়ে দৌড়ে পালায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাসলিমাকে পেরুল নানাবাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। খবর পেয়ে লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক স্বরজিৎ কুমার দে ও আবদুর রহিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাসলিমার বাড়িতে যায় এবং তাসলিমার মুখ থেকে অপহরণের বর্ণনা শোনে।

তাসলিমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, মক্তবে যাওয়ার জন্য নানাবাড়ি থেকে বের হলে একজন মহিলা জিজ্ঞাসা করে, এটা কোন বাড়ি? কেউ ভিক্ষা দিবে? একটু সামনে এগুতেই মহিলা রুমাল দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে মাইক্রোবাসে উঠায়। জামতলিতে গাড়িটি দাঁড়ালে আমি মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে নেমে পালিয়ে যাই। চালক ছাড়াও গাড়িতে মুখোশ পরা দুজন পুরুষ ও একজন মহিলা ছিল। তাছাড়া অপহৃত আরো দু’জন শিশু কান্না করছিল।
লালমাই থানার ওসি বদরুল আলম তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাল রংয়ের মাইক্রোবাসটির খোঁজ করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর