জুড়ী থানার ৬নং সাগরনাল ইউনিয়নের উত্তর বড়ডহর গ্রামের আবদুল হামিদের ডিভোর্সী কন্যা এক সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শামীম মিয়া (২৮) নামের এক লম্পটকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে গত ১৩ই জুলাই শনিবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। জুড়ী থানার মামলা ও ভিকটিমের দেয়া তথ্যে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বখাটে শামীম। এক পর্যায়ে শামীম তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখালে সে রাজি হয়ে যায়। তখন উভয়ের সম্মতিতে চলতে থাকে গোপন অভিসার। কিছুদিন যাওয়ার পর ওই মহিলা শামীমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। শামীম নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এতে তার সন্দেহ হলে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে।
এমনকি শামীমের বারবার মোবাইলের কলও রিসিভ করে না। গত ৭ই জুলাই দুপুরে সে তার এক বোনের প্রতিবন্ধী শিশুকে কোলে নিয়ে ও তার আট বছরের একমাত্র ছেলেকে হাঁটিয়ে নিয়ে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়িতে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে রশিদের বাড়ির পুকুরপাড়ে পৌঁছলে ঝোপঝাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা লম্পট শামীম এসে পথরোধ করে দাঁড়িয়ে তাকে মোবাইল রিসিভ না করার কারণসহ নানা প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত শামীম তাকে টেনেহিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে পকেট থেকে ধারালো চাকু বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারে। চাকুর কোপ হাত দিয়ে ফেরাতে গেলে তার চোয়ালে লেগে বেশ খানিকটা কেটে যায় এবং ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুলে সে বাঁচাও, আমাকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে চিৎকার দেয়। তার এবং সঙ্গে থাকা শিশুদের চিৎকারে বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শামীম দৌড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তাকে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবশেষে তার পিতা আবদুল হামিদ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লম্পট শামীমকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই শামীমের ভাই সাইফুল ও তার পিতা রহিম আলীসহ ৭-৮ জনের একদল সন্ত্রাসী মামলার বাদী আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা করে বলে জানান আবদুল হামিদ। জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুটো ঘটনারই অভিযোগ পেয়েছি। প্রথম ঘটনায় একজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি। অপরটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।