কুমিল্লায় পূর্ববিরোধের জেরে ময়নুল হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামিরা বাদীপক্ষকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। ফের সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে নারী-শিশুসহ ওই পরিবারের সদস্যরা। গতকাল সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ময়নুল, তার বড়ভাই স্বপন মিয়া ও পরিবারের সদস্যরা। জেলার বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর গ্রামে মসজিদে নামাজ শেষে বের হওয়ার পর ময়নুলের ওপর এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর গ্রামের ময়নুল হোসেন একই গ্রামের মানিক মিয়ার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ৫ই জুলাই ময়নুল জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে মানিক মিয়ার নেতৃত্বে তার সঙ্গীয়রা দা, ছেনি, লাঠি নিয়ে ময়নুলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ময়নুলকে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর জখমসহ হত্যার চেষ্টা করে।
ময়নুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে ময়নুল আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মানিক ও তার লোকজন গ্রেপ্তার এড়িয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যরা হুমকির মুখে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজীর অভিযোগে পৃথক ২টি মামলা রয়েছে।’ এদিকে, মামলার আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য স্থানীয় লোকজন দাবি জানিয়েছেন। বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান চলছে।