বগুড়ার নন্দীগ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে বিবাহিত এক যুবক। শনিবার রাতে গ্রামবাসী ঘরের তালা ভেঙে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক মোয়াজ্জেম পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার বাঁশো দিঘীরপাড় গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০) পাশের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর (১৫) সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। শুক্রবার মোয়াজ্জেমের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান না থাকার সুযোগে রাতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। শনিবার সারাদিন তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এদিকে, শনিবার সকাল থেকে পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে খুঁজতে থাকে।
সন্ধ্যার পর মেয়েটির চিৎকারে গ্রামের লোকজন জানতে পেরে ঘরের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষক মোয়াজ্জেম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিশোরীর বাবা বলেন, গতকাল সকালে মেয়েকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির বলেন, গ্রামবাসী মেয়েটিকে উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।