× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঠাকুরগাঁও বন্ধ বিমানবন্দর চালুর দাবি

বাংলারজমিন

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার

ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি বছর বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। রানওয়ে ছাড়া অধিকাংশ জমি ফসলের মাঠ, আর বেহাত হয়েছে বেশকিছু জমিও। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ বিমানবন্দরটি চালুর দাবি করলেও আলোর মুখ দেখছে না ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে ওড়ে না বিমান। তাই বলে পড়ে নেই এ বন্দরটির ভূমি। জমিতে পুরোদমে চলছে চাষাবাদ। জমি লিজ নিয়ে ভুট্টা, গম আলুসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছেন স্থানীরা। আবার এরই সুযোগে একটি মহল নেমেছে জমি দখল করতে, অভিযোগ এলাকাবাসীর। ১৯৪০ সালে বৃটিশ শাসন আমলে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শিবগঞ্জ এলাকায় সাড়ে ৫শ’ একর জমিতে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হয়।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এর যোগাযোগ ছিল। সে সময় ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে নিয়মিত বিমান চলাচল করতো। কিন্তু ১৯৭৯ সালে লোকসানের অজুহাতে এ বিমানবন্দরটিকে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের দাবির মুখে ১৯৯৪ সালে এ বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সময় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে রানওয়ে মেরামত, টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও বিদ্যুতায়নের কাজসহ বিভিন্ন সংস্কার হয়। এয়ার বেঙ্গল ও
বোরাকসহ ৬টি বেসরকারি সংস্থা ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে স্টল বিমান সার্ভিস চালু করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে। কিন্তু চুক্তি আর বাস্তবায়ন হয়নি। তখন স্টল বিমান সার্ভিস চালুর প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যায়। গেল বছর বিমানমন্ত্রী পরিদর্শনে এসে চালুর আশ্বাস দিলে আশা সঞ্চয় হয় এলাকাবাসীর। কিন্তু আর চালু হয়নি বন্দরটি। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা এ বিমানবন্দরটি চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
শিবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর এলাকার অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। এটি চালু করার পাশাপাশি বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে প্রশাসন ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। ওই এলাকার ব্যবসায়ী মামুন অর রশিদ বলেন, এই বিমানবন্দরটি চালু হলে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দৃশ্যপট পরিবর্তন হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী কলেজছাত্র মোকসেদুর রহমান বলেন, যেহেতু পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চালু হয়েছে। তাই এই বিমানবন্দরটি চালু হলে যাত্রীর অভাব হবে না, বরং সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও টিকিটের জন্য ঘুরতে হবে না।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সোহাগ বলেন, এইটি চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে এলাকার মানুষ। প্রধানমন্ত্রী এই দাবিটি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করি।
সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ বিমানবন্দরটি চালু হওয়ার আশ্বাস দেন।
আর কোনো আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন দেখতে চান স্থানীয় বাসিন্দা আর ব্যবসায়ীরা। সরকার এ বন্দরটি চালু করে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করবে। এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থাও আরো সহজতর হবে এমন প্রত্যাশা সবার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর