নিখোঁজের দু’দিন পর এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদারীপুর শহরের পাকদী এলাকায় একটি পুকুরে ওই কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে প্রথমদিন মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পরে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত কিশোরী মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে দিপ্তী আক্তার। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সূত্রে জানা গেছে, দিপ্তী গত বুধবার সকালে মাদারীপুর শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বেড়ানো শেষে গ্রামের বাড়ি রওয়ানা দেয়।
এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিল। নিহত কিশোরীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখমণ্ডল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে। পেটে ছুরিকাঘাত করা রয়েছে। লাশটি ছিল বিবস্ত্র। নিহতের চাচা গোলাম মাওলা ফকির বলেন, দিপ্তী বুধবার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। বৃহস্পতিবার বেড়ানো শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
এর পর থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে আমরা খবর পাই একটি মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করি। আমরা ধারণা করছি কেউ অপহরণ করে নিয়ে দিপ্তীকে হত্যা করেছে। মেয়েটির মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। স্থানীয়রা জানান, লাশটি অনেকটাই পচে গলে বিকৃত হয়ে গেছে এবং বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।