এমনিতেই নীলফামারী জেলার পৌরসভাগুলোর নাগরিক সেবার মান তলানিতে। তার ওপর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন শহরবাসীকে চরম বেকায়দায় ফেলেছে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে থাকায় ভারি বর্ষণের ফলে ড্রেনের ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে শহরগুলোর অনেক এলাকা। ওদিকে পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির ওপর নির্ভরশীল শহরের অনেক পরিবার পানির জন্য বিপাকে পড়েছেন। বর্ষার পানি আর ড্রেনের ময়লা আবর্জনা ও মলমূত্রে একাকার শহরের বেশিরভাগ এলাকা। তার ওপর শহরের ড্রেনগুলো পৌরসভার মশা উৎপাদনের নিরাপদ খামারে পরিণত হয়েছে।
ড্রেনগুলোতে মশা মারার ওষুধ ছিটানোর ঘটনাও বিরল। একাধিক সূত্র জানায়, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে নীলফামারী জেলার ৪টি পৌরসভা কার্যালয়ে নাগরিক সেবা নিতে এসে শত শত মানুষ ফিরে যাচ্ছেন।
কর্মকর্তা কর্মচারীরা পৌরসভার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখায় পৌরসভার সার্বিক সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও বিকল্প ব্যবস্থায় পৌর মেয়ররা তাদের গাড়ি চালকদের কাজে লাগিয়েছেন।