মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার এবং একটি ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সকালে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা ও ঢালীকান্দিসহ ৪টি গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লা ও বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করেছে।
গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদ (৫৬), নূরউদ্দিন সরকার (৫০), সোলেমান গাজী (৩৮) ও আকরাম খান (৩২)কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত রহমত উল্লাহ (১৭), ডালিম মৃধা (২২), কামাল সরকার (৩৫), আদনান উল্লাহ (২৮), অহিদুল ইসলাম (৩২, রাজ্জাক শিকদার (৫২), সোলেমান (৪০), আকরাম (৩৭), আবু সায়েদ (৫০), রহমত উল্লাহ (১৭), আবুল কালাম (৩৫), মো. সুজন (৩৫), গৃহবধূ তাসলিমা (৫০), শাহনাজ (৩০), কলেজছাত্র মো. সাকিল (১৯)কে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বেহেরকান্দি গ্রামের শ্বশুর তারা দেওয়ানের হাতে প্রবাসী ছেলের স্ত্রীকে (পুত্রবধূ) ধর্ষণের ঘটনা কেন্দ্র করে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা এবং সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লা গ্রুপ দুইপক্ষ নিলে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে গত ক’দিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আসছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে চেয়ারম্যান কল্পনা গ্রুপের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন দেওয়ান, নুরুল আমিনের নেতৃত্বে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লার ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার মোল্লার কংসপুরা গ্রামের বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায়। পরে তারা মোস্তফা মোল্লা পক্ষের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরহাদ খাঁ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মেজু ঢালী এবং উজির আলীর নোয়াদ্দা, লক্ষ্মীদিবি, বেহেরকান্দি-ঢালীকান্দি গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসে।
সময়মতো এলে বড় ধরনের এ ঘটনা ঘটতো না এবং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আটক করতে পারতো। মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা জানান, তার সমর্থক স্বপন দেওয়ানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।