× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রতি ইঞ্চি জমি থেকে অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করব: অমিত শাহ

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুলাই ১৮, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুমকির সুরে বলেছেন, ‘ভারতের প্রতি ইঞ্চি জমি থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে ফেরত পাঠাবো।’ বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা দেশেই বিদেশিদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চালু করা হবে। রাজ্যসভায় সমাজবাদী পার্টির সদস্য জাভেদ আলি খান জানতে চেয়েছিলেন, আসামের পরে দেশের বাকি রাজ্যগুলোয়ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালু করা হবে কিনা। এর জবাবে অমিত শাহ বলেন, আসামে যে এনআরসি হচ্ছে তা আসাম চুক্তির অঙ্গ। তবে বাকী অংশে এনআরসি চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদের শুরুতে রাষ্ট্রপতির ভাষণ যদি মন দিয়ে শুনে থাকেন ও যে ইস্তেহারের ভিত্তিতে এই সরকার জিতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি অনুপ্রবেশকারী মুক্ত করা হবে। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের নিজের দেশে প্রত্যর্পণ করা হবে বা ফেরত পাঠানো হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ  এর আগেও একাধিকবার অনুপ্রবেশকারী বিদেশিদের বিতাড়নের কথা বলেছন। এমনকি অনুপ্রবেশকারীদের তিনি উইপোকার সঙ্গে তুলনাও করেছেন।

এদিকে, আসামে ইতিমধ্যে এনআরসির নাম করে ৪০ লাখের বেশি মানুষকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে সেখানে এই কাজ চলছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। কিন্তু কাজ যে ঠিকঠাক ভাবে এগোচ্ছে না, প্রকৃত নাগরিকেরা বাদ পড়ছেন, কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় ও আসাম সরকার উভয়েই শীর্ষ আদালতে আর্জি রেখেছে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ২০ শতাংশ ও বাকি জেলাগুলিতে ১০ শতাংশ এনআরসি তথ্য যাচাই করতে দেয়া হোক। আসামে প্রথম চূড়ন্ত খসড়ায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। নাম তোলার জন্য ফের আবেদন করেছেন ৩৬ লক্ষ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সেনা ও আধাসেনা বাহিনীতে কাজ করার পরেও বাদ গিয়েছে অনেকের নাম।

সন্দেহজনক ভোটার (ডি-ভোটার) তকমা দিয়ে আটককেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে অনেককে। একই পরিবারে কারো নাম থাকছে আর বাদ পড়েছেন কেউ। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে। তালিকায় নাম তোলার আর্জি নিয়ে শুনানিও ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। এ পর্যন্ত ২৫ লক্ষ মানুষের স্বাক্ষর করা আবেদনপত্র জমা পড়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। কেন্দ্রের কাছেও তা জমা পড়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে অবশ্য বলেছেন, কোনো প্রকৃত নাগরিক বাদ পড়বেন না। কিছু দেরি হতে পারে, কিন্তু ত্রুটিমুক্ত এনআরসিই তৈরি হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর