× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘নাটক নির্মাণে সাহস পাই না’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার

টেলিভিশন নাটকের গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন অভিনয়ে। এখনো নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন। অভিনয়ে নিজেকে এভাবেই ব্যস্ত রাখতে চান বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে। কিন্তু এখন আর আগের মতো বৈচিত্রতা পাওয়া যায় না চরিত্রে। তবুও এরমধ্যে ভালো কাজ গুলো করার চেষ্টা করি। জীবনের বেশি সময় অভিনয়ের সঙ্গেই আছি।
এর সঙ্গে মিশে গেছি। ইচ্ছে করলেও অভিনয় থেকে দূরে থাকতে পারি না। সম্প্রতি আসছে ঈদের জন্য ‘আয়নার গল্প’ শিরোনামের একটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন এই অভিনেতা। এটি নির্মাণ করেছেন অঞ্জন আইচ। চলতি মাসে ঈদের জন্য আরো কয়েকটি নাটকে অভিনয় করবেন বলে তিনি জানান। অভিনয়ের বাইরে আবুল হায়াত নাটক-টেলিছবিও নির্মাণ করেন। এবার ঈদে কি অভিনয়ের বাইরে নির্মাণেও কি দেখা যাবে আপনাকে? উত্তরে তিনি বলেন, চ্যানেল আইয়ের জন্য একটা নাটক নির্মাণ করবো। সত্যি বলতে, এখন নাটক নির্মাণের জন্য সাহস পাই না।

একটা সময় নাটকে যে বাজেট ছিলো তা দিয়ে ভালো ভাবে কাজ করা যেতো। কিন্তু এখন সব কিছুর দাম বেড়েছে, কমেছে নাটকের বাজেট। এছাড়া অনেক সময় চ্যানেল থেকে শিল্পী নির্বাচন করে দেয়। যার কারণে মূল গল্প ঠিক রেখে কাজ করা কষ্ট হয়ে পড়ে। কাজের সময় নির্মাতাকে স্বাধীনতা দিতে হয়। এই সংকট উত্তরনের পথ কি? আবুল হায়াত বলেন, নাটক যখন থেকে এজেন্সির কাছে চলে গেছে তখন থেকেই এই অবস্থা শুরু হয়েছে। এজেন্সিগুলো চ্যানেল নিয়ন্ত্রন করে। তাদের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক ভালো সেসব শিল্পীদের নিয়ে এখন বেশি কাজ হচ্ছে। এছাড়া এজেন্সিগুলো অল্প বাজেটের কাজ বেশি চায়। সিনিয়র শিল্পীদের অনেকেই এখন কাজ করছেন না। এর কারণ কি মনে করেন? আবুল হায়াত বলেন, শুধু সিনিয়র শিল্পীরা নয়, তরুণদের মধ্যেই এখন ঠিকমত কতজন অভিনয় করে? টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেল সব মাধ্যমে এখন ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কজন শিল্পীকে দেখা যায়।

এদের ছাড়া মনে হয় আমাদের আর কোনো শিল্পী নেই। আমি আগেই বলেছি, এজেন্সিগুলোর কারণে নিদিষ্ট কজন শিল্পীর বাইরে আর কাউকে দেখা যায় না। এই সংকট থেকে উত্তরনের জন্য প্রথমেই এজেন্সিগুলোর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। এদিকে টিভি চ্যানেলগুলোকে বাজেট বাড়াতে হবে। ভালো মানের নাটক প্রচারের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।  নাটকে মাঝেমধ্যেই এখন  অশ্লীলতা দেখা যায়। বিশেষ করে ইউটিউব ভিত্তিক নাটকে পোশাক-সংলাপ থেকে শুরু করে নাটকের নামেও অশ্লীলতার অভিযোগ রযেছে।   এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আবুল হায়াত বলেন, নাটক আগে শুধু টেলিভিশনে ছিলো। প্রযুক্তির কল্যানে এখন ইউটিউবে চলে এসেছে। এই সময়ে কিছু নির্মাতা ইউটিউবে বেশি ভিউর্য়াসের জন্য এই ধরনের নাটক নির্মাণ করে। এখানে গল্পের চেয়ে তাদের টার্গেট থাকে দর্শক ধরে রাখা। সেটি যেভাবেই হোক। এভাবে আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। কয়েক বছর পরেই সেটি আমরা বুঝতে পারবো। তবে আমি মনে করি, টিভি নাটকের সংগঠনগুলোকে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও সব কিছু নিয়মের মধ্যে আসবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর