× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুলাউড়াতেই ১ মাসে ৫ ট্রেন দুর্ঘটনা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
২১ জুলাই ২০১৯, রবিবার

ত্রুটিযুক্ত ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন, ব্রিজ ও ট্রেনের কারণে সিলেট আখাউড়া রোডে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। ঘনঘন দুর্ঘটনায় চরম আতঙ্কে এ রোডের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের তথ্য মতে, মৌলভীবাজার জেলার ভেতর ভাটেরা থেকে সাতগাঁও পর্যন্ত শুধু কুলাউড়া অংশে বিগত ২৭ দিনে ঘটেছে পাঁচটি দুর্ঘটনা। তবে, এ পাঁচ দুর্ঘটনার ধরন ছিল একই। ত্রুটিপূর্ণ লাইন ও বগির কারণে লাইচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এ সব ট্রেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেনগুলো হলো উপবন, পাহাড়িকা, জয়ন্তিকা ও কালনী। জানা যায়, ২৩শে জুন রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুলাউড়ার বরমচাল বড়ছড়া ব্রিজে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় উপবন ট্রেনের ১টি বগি ব্রিজটির নিচে ও আরো পাঁচটি বগি সড়কের পাশে উল্টে যায়।
এতে ৪ জন নিহত ও ৩ শতাধিক যাত্রী আহত হন। ওই দিন ঢাকাগামী উপবন ট্রেনে ১৭টি বগি ছিল। ২৮শে জুন হঠাৎ ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন বড়ছড়া ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওখানে আটকা পড়ে। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা। ব্রিজটির সার্বিক অবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে  প্রায় ২ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ৭ই জুলাই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নের পলকি ও মনু ব্রিজের মধ্যখানে মাহতাবপুর এলাকায় একটি গরুকে ধাক্কা দেয়। এ সময় গরুটি ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও ইঞ্জিনের সামনের একটি হুইস পাইপ ভেঙে ঘটনাস্থলে থেমে যায় ট্রেন। বিকল হয় ইঞ্জিন। মেরামতের জন্য প্রায় ১ ঘণ্টা আটকে থাকে ট্রেন। এ সময় চরম দুর্ভোগে পড়েন ওই ট্রেনের যাত্রীসহ আটকা পড়া অন্য ট্রেনের যাত্রীরাও। মেরামতের পর ট্রেনটি গন্তব্যে ছুটলে চরম অস্বস্তিতে থাকা অপেক্ষমাণ ভয়ার্ত যাত্রীরা স্বস্তিতে ফিরে পান। ১৯শে জুলাই সকালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ৩শ’ ফুট দূরে আউটার এলাকায় একটি বগি লাইচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই সময় ভয়ে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরে দুর্ঘটনায় পড়া ওই বগি রেখেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। ২০শে জুলাই সকালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি একইস্থানে আবারো দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এ ছাড়াও কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ মেরামতের কারণে ব্রিজের পাশেও দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর ছেড়ে যায়। এরকম দৃশ্য বা ঘটনা এর আগে কখন দেখেন নি স্থানীয় বাসিন্দারা। এসব দুর্ঘটনার কারণে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়, স্টেশনে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সিলেট অঞ্চলের যাত্রীদের জোর দাবি দ্রুত ত্রুটি ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেল লাইন, ট্রেন, স্টেশন ও ব্রিজ মেরামত ও নির্মাণের। যাতে করে এই অঞ্চলের মানুষের ট্রেন যাত্রা হয় নিরাপদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর