× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাঘববোয়ালদের নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হয়

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২১ জুলাই ২০১৯, রবিবার

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদক বেশির ভাগই চুনোপুঁটিদের নিয়ে অনুসন্ধান করে। রাঘববোয়ালদের নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হয়। আর কোনো অভিযোগে কিংবা মামলায় দুদক যে তদন্ত করছে, তার মধ্যে অধিকাংশই চুনোপুঁটির বিরুদ্ধে। এর সংখ্যা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। তাই অনেকে প্রশ্ন করেন আমরা কি শুধু চুনোপুঁটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছি? আসলে ছোট গাছ উপড়ে ফেলা যত সহজ, বড় গাছ উপড়ানো তত কঠিন। তাই বলে যে আমরা বড় গাছ ধরছি না, তা নয়। আমরা ধরছি। চুনোপুঁটিও ধরবো।
বড় মাছও ধরবো।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক’ এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে সরকারি দলের প্রায় ১৫জন এমপি মন্ত্রী আমাদের অনুসন্ধানে রয়েছেন। তাছাড়া অন্য দুইদলের প্রায় ৩৭জন এবং আমলাদের মধ্যে প্রায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি।

দুদক চেয়ারম্যান আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের এখান থেকে তথ্য পাচার হয়। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেই কিভাবে যেন সেই তথ্য অপরাধীর কাছে চলে যায়। তথ্য পাচার রোধ করার জন্য আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক থেকে শুরু করে আমরা সকল ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। তারপর সেটা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের চেষ্ঠার কমতি নেই। দুদকের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে তিনি বলেন, দুদক কিন্তু উড়ে আসেনি। আমরা যারা দুদকে কাজ করি তারাও এ সমাজেরই অংশ। সমাজের অন্যান্য জায়গায় যা হয়, তা আমাদের এখানে যে হয় না, তা নয়। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। সে দায় আমাদেরই। তাছাড়া আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তাও কম।

মানি লন্ডারিং মামলা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানি লন্ডারিং ইস্যুটা আমাদেরই। মানি লন্ডারিং আইন সংস্কার করে শুধু ঘুষ আর দুর্নীতির বিষয়গুলো কমিশন দেখছে। এ সংক্রান্ত ২০০ মামলা তদন্ত করছে কমিশন। এর মধ্যে ২২টি মামলার ২২টিতেই শাস্তি হয়েছে। অর্থাৎ শতভাগ শাস্তি হয়েছে। ঘুষ থেকে উৎসরিত অর্থ যদি লন্ডারিং হয়, তাহলে আমরা আছি। বাকিগুলো সিআইডি, কিংবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দেখছে। তবে দুদকের ওপর অনেকেরই মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত নিয়ে প্রত্যাশা বেশি। সেটা ভালো। আমরা এসব নিয়ে তিনটি রিসার্চ করছি। আমাদের ফিলোসফি রয়েছে। আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। দুর্নীতির কারণে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর তারা কিন্তু সব অফিস-আদালতেই দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন।

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) আয়োজিত এই সেমিনারে সংস্থার প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিষ্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম, বিচারপতি মো. নিজামুল হক এবং সিনিয়র আইনজিবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু এমপি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিষ্টার হাসান এম এস আজিম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর