× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পা হারানো রাসেলের ক্ষতিপূরণ / সাত দিনের মধ্যে প্রথম কিস্তি পরিশোধের নির্দেশ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার

যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তির পাঁচ লাখ টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করতে গ্রীনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২৮শে জুলাই’র মধ্যে ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে প্রতিবেদন এবং ওই দিন মামলার পরবর্তী আদেশের রাখা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এফ.আর. এম. নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে, এম, কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এরআগে গ্রীনলাইন পরিবহনের নতুন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক আদালতে ওকালতনামা দাখিল করে এক সপ্তাহের সময় চান।

গত ২৫ জুন হাইকোর্ট রাসেলকে মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অবশিষ্ট ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে গ্রীন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ করে ১৫ তারিখে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন আদালত। কিন্তু গত ১৬ই জুলাই গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশ না মানায় তাদের আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ নিজেকে মামলা থেকে প্রত্যাহার করে নেন। ওইদিন আদালত গতকাল রোববার পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছিল।
সে অনুযায়ী মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক গ্রীনলাইন পরিবহনের পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করে এক সপ্তাহের সময় চান। এ সময় আদালত কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনজীবী বলেন, এ মামলায় আমি নতুন করে নিযুক্তি হয়েছি। মামলার প্রস্তুতির জন্য সময় প্রয়োজন।

তখন বিচারক বলেন, আপনারা টাকা দিলেন না কেন? টাকা যাতে পরিশোধ করেন, তার জন্য কিস্তি করে দিলাম। এরপর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল ক্ষতিপূরণের রুল শুনানির আরজি জানালে বিচারক বলেন, না, টাকা দিতে থাকেন। আগে আদেশ বাস্তবায়ন করে আসুন। এসব আমরা জানি। টাকা দেননি কেন? গ্রীনলাইনের আইনজীবী বলেন, আসলে কিছু অসুবিধার জন্য যোগাযোগ করতে পারিনি। এক সপ্তাহ সময় দিন। এরপর আদালত আগামী ২৮ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে এই সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তি পরিশোধের আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতে রাসেলের পক্ষের আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা বলেন, মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে রাসেলকে দিতে হাইকোর্টের আদেশ পালন করেনি গ্রীনলাইন। তারা সর্বশেষ আদেশের পর আর কোনো টাকা দেয়নি। কোনো যোগাযোগ করেনি রাসেলের সঙ্গে।

পরে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা সাংবাদিকদের বলেন, গ্রীনলাইন হাইকোর্টের আদেশ পালন করেনি। এটা চরম ঔদ্ধত্য! তাদের যদি সমস্যা থাকত, তাহলে তারা সেটা আদালতকে বলতে পারত। কিন্তু তারা কিছুই বলেনি, আবার টাকাও দেয়নি। গ্রীণ লাইনের নতুন আইনজীবীর সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২৮ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের কিস্তি পরিশোধের আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেও কিস্তি পরিশোধ না করলে গ্রীনলাইনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলবেন।

উল্লেখ্য, গত বছর ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রীন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় থাকেন। ওই ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর