× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন শাহজালাল বিমানবন্দর

শেষের পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি
২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার

ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন ছিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। উত্তরার কাউলায় রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় বিদ্যুতের তার ও পানির সংযোগ কাটা পড়ায়  গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই সমস্যা দেখা দেয়। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বন্ধ থাকায় গরমে কষ্ট করার পাশাপাশি টয়লেটে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন বিমানবন্দরে অবস্থান করা যাত্রী ও কর্মীরা। জানা যায়, জেনারেটর ও পাওয়ার ব্যাকআপ দিয়ে সীমিত আকারে বিমানবন্দরে লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়। তবে কম্পিউটার সচল না থাকায় হাতে লিখে বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করে এয়ারলাইনসগুলো। এসি সচল না থাকায় গরমে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পানি না থাকায় টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর দুপুরের দিকে সমস্যার আংশিক সমাধান হয়।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল- ফারুক জানান, বিকাল সোয়া তিনটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কাউলা এলাকায় রেললাইনের পাশের উচ্ছেদ অভিযান চালায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে বিমানবন্দরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা দেখা দেয়। তবে জেনারেটর দিয়ে সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। একই ভাবে নিজস্ব ব্যবস্থায় সীমিত আকারে পানি সরবরাহ সচল রাখা হয়। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ থাকে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রে বোর্ডিংয়ের কার্যক্রম ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সচল রাখা হয়। পুরো বিমানবন্দরে আলোর স্বল্পতা দেখা যায়। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সমস্যা বেশি ছিল। পরে কিছুটা কমতে থাকে।

এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান বলেন, উত্তরার কাউলা এলাকায় রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় বিমানবন্দরের দুইটি বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এ ছাড়া পানির লাইনও কেটে যায়। তবে জেনারেটর দিয়ে সবকিছু সচল রাখা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটা বিদ্যুতের সংযোগ সচল করা হয়।
এদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, অনিবার্য কারণবশত রোববার ভোররাত থেকে  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিলে বেবিচক কর্র্তৃপক্ষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডেসা এবং ওয়াসা এর আন্তরিক সহযোগীতায় খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হয়।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবার কারণে বেবিচক কর্র্তৃপক্ষ  ওয়াসা এবং ডেসাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এখানে উলেখ্য, সিভিল এভিয়েশন কর্র্তৃপক্ষ নিজস্ব বিকল্প ব্যবস্থায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রেখে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাসহ সব ধরণের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচলনা করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর