× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা

এক্সক্লুসিভ

মাগুরা প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় স্ত্রী ও ১০ মাসের শিশুপুত্রকে গলা কেটে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বিট্টু মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে বিট্টু এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিট্টুর নিহত স্ত্রীর নাম পূর্ণ মজুমদার (২৫)। শিশুপুত্রের নাম মানব মজুমদার। গতকাল সকাল ১১টার দিকে এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে মাগুরা সদর থানা পুলিশ পারনান্দুয়ালীর মিস্ত্রিপাড়ার একটি টিনশেড ঘর থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে। এই বাড়িতেই তারা ভাড়া থাকতো। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কাদের গনি মোহন জানান, বিয়ের পর সস্ত্রীক বিট্টু চুয়াডাঙ্গায় থাকতো। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
৩ মাস আগে পারনান্দুয়ালী মিস্ত্রিপাড়ার হাজী আব্দুর রশিদের ভাড়া বাড়িতে ওঠে তারা। ভাড়া ওই বাড়ির পাশেই বিট্টুর পারিবারিক বসত। বিট্টু তার পরিবারে ফিরে যাবার জন্য চেষ্টা করছিল। কিন্তু মুসলিম ধর্মের মেয়ে বিয়ে করায় তার পরিবার সেটা মেনে নিতে পারেনি। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমার কাছে এ বিষয়টি মীমাংসার জন্য তারা বসেছিল। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এসব কারণে বিট্টু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।

এ ব্যাপারে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, ‘৩ বছর আগে মাগুরার পারনান্দুয়ালী মিস্ত্রিপাড়ার নির্মল মজুমদারের ছেলে বিট্টু মজুমদার প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে চুয়াডাঙ্গার সদরের ভাড়মপাড়ার কালাম শেখের মেয়ে পূর্ণকে বিয়ে করে। বিট্টুর পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় সে মাগুরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে থাকতো। সর্বশেষ পারনান্দুয়ালীর হাজী আব্দুর রশিদের একটি টিন সেড ঘরে ভাড়া থাকতো। পেশায় বিট্টু একজন থাই মিস্ত্রি। সব সময় কাজ না থাকায় প্রায় সে বেকার থাকতো। যে কারণে দারিদ্র্যপীড়িত সংসারে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো। তাদের পুত্রসন্তানের বয়স ১০ মাস।’ যে ধারালো বটি দিয়ে বিট্টু এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বিট্টুকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ধর্মীয় কারণে বিট্টুর পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেয়ায় পারিবারিকভাবে তারা অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিল। এরই মধ্যে বিট্টু স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোর জন্যে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরই এক পর্যায়ে সে এ ঘটনা ঘটায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর