× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের সংসদে বিল পাস / সন্দেহভাজনরাও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে গণ্য হবে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুলাই ২৫, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

সন্দেহভাজনদেরও এবার থেকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে গণ্য করে ভারতের সংসদের একটি বিল পাস হয়েছে। বিরোধী দলগুলি বিলটি নিয়ে প্রবল আপত্তি জানানো সত্ত্বেও সরকার সংখ্যাধিক্যের জোরে সেটি পাস করিয়ে নিয়েছে। বুধবার সংসদে পাস হওয়া ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) সংশোধনী বিল’ অনুযায়ী আগামী দিনে সন্দেহভাজন কাউকে   সন্ত্রাসবাদী গণ্য  করে গ্রেপ্তার করতে পারবে সরকার এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না-থাকলেও কাউকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা যাবে। এ ছাড়া বিলে বলা হয়েছে, আগামী দিনে যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দার বাড়িতে তল্লাশি ও তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার থাকবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে। এর জন্য আগের মতো সংশিষ্ট রাজ্যের পুলিশের অনুমতি লাগবে না। সংশোধনীর এই সব ধারা নিয়েই আপত্তি তুলেছিলেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এই বিলের ফলে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রের দিকে আরও এক ধাপ ঠেলে দেওয়া হল। এদিন সংসদে বিলটির বিরোধীতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র বলেছেন, এবার থেকে সরকার বিরোধিতা করলেই সন্ত্রাসবাদী বলা হবে।
জাতীয় সুরক্ষা থেকে অন্য অনেক বিষয় নিয়ে কারও মতপার্থক্য থাকতেই পারে।

তা হলেই দেশদ্রোহী বলে চিহ্নিত করা হবে? হয় সরকারের সঙ্গে সুর মেলাও, না-হলেই দেশদ্রোহী, এই তত্ত্বে মানুষ বিশ্বাস করে না। সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত হলেই কেউ দেশদ্রোহী নন। হতে পারে তিনি প্রবল ভাবে জাতীয়তাবাদী। বিরোধীরা বলেছেন, সরকার বিরোধিতায় মুখ খুললেই কাউকে ‘দেশ-বিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করার একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আইন সংশোধনের ফলে ভবিষ্যতে কেউ সরকার-বিরোধিতা করলেই তাকে সন্ত্রাসবাদী অ্যাখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের সুযোগ সরকারের হাতে এসেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, এটা আসলে বিরোধী স্বরকে স্তব্ধ করার কৌশল। মূলত ‘শহুরে নকশালপন্থীদের’ কথা ভেবেই আইনটি আনা হয়েছে । বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, যারা শহরে বসে তত্ত্বকথা আউড়ে মাওবাদীদের সাহায্য করেন, তাদের বরদাস্ত করা হবে না। এদিন লোকসভায় ২৮৭ সাংসদের সমর্থনে বিলটি পাস হয়েছে। অধিকাংশ বিরোধী সাংসদ ওয়াক আউট করলেও, লোকসভায় উপস্থিত আট বিরোধী সাংসদ বিলের বিরোধিতা করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর