× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৩ মে ২০২৪, শুক্রবার , ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হারিয়ে যাওয়া নায়িকারা

বিনোদন

কামরুজ্জামান মিলু
২৬ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তারকাখ্যাতি পাওয়ার পরও অনেক নায়িকা হারিয়ে গেছেন। বলা যায় হঠাৎ আলোর ঝলকানি দিয়ে পরক্ষণেই হারিয়ে গেছেন তারা। অথচ ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত করেছিলেন এসব নায়িকারা। অনেকদিন থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে নেই তারা। তারকাখ্যাতি পেয়েও হারিয়ে যাওয়া নায়িকাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়।  ১৯৯২ সালের সুপারহিট ছবি ‘চাঁদের আলো’। এ ছবিতে অভিষেক হয়েছিল চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী আনোয়ারার মেয়ে মুক্তির। ওমর সানী ও মুক্তি অভিনীত এ ছবিটি তখন নতুন শিল্পীদের জোয়ারকে আরো বাড়িয়ে তুলেছিল। প্রথম ছবি সুপারহিট হওয়ার পরও মুক্তি সিনেমায় ব্যস্ত হননি তখন।
পরবর্তীতে ২০০০ সালে হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে শাহানা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি। কিন্তু এরপর ‘হাসন রাজা’, ‘অবুঝ বউ’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর বড় পর্দার বাইরে চলে যান মুক্তি। এখন মাঝে মাঝে ছোট পর্দার নাটকে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৯৩ সালের সবচেয়ে আলোচিত জুটি আমিন খান ও চাঁদনী। রথি থেকে চাঁদনী হয়ে সিনেমায় নেমেছিলেন এই সুন্দরী। ১৯৯৩ সালের ১লা অক্টোবর ঢাকাই ছবিতে যুক্ত হয়েছিলেন চাঁদনী। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত এ ছবির মাধ্যমে চাঁদনী সে সময় ঢালিউডে আলোচনার ঝড় তুললেও ‘অবুঝ দুটি মন’ই ছিল তার প্রথম ও শেষ ছবি। পরে নির্মাতা চান্দা মাহজাবীনের ধারাবাহিক নাটক ‘আয়নাঘর’-এ তাকে অভিনয় করতে দেখা গেলেও চলচ্চিত্রে আর কাজ করেননি। ১৯৯৭ সালে ‘হৃদয়ের আয়না’ নামের ছবি উপহার দেন চিত্রনায়িকা আয়না। সুপার-ডুপার হিট রোমান্টিক এ ছবিতে চিত্রনায়ক রিয়াজের বিপরীতে আয়নার নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটেছিল। প্রথম ছবি সফল হওয়ার পরও হারিয়ে যান আয়না। এরপর বলতে হয় চিত্রনায়িকা তামান্নার কথা। ১৯৯৮ সালের বাম্পারহিট ছবি ‘ভণ্ড’ দিয়ে তার অভিষেক হয় রূপালী পর্দায়। শহীদুল ইসলাম খোকনের পরিচালনায় এ ছবিতে চিত্রনায়ক রুবেলের বিপরীতে অভিনয় করেন তামান্না। প্রথম ছবি দিয়ে প্রথম সারিতে চলে এসেছিলেন সুইডেন প্রবাসী এ নায়িকা। এরপর বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করলেও তার কোনোটিই আর ‘ভণ্ড’কে ছুঁতে পারেনি। ক্যারিয়ার ফেলে তামান্না বর্তমানে সুইডেনে বসবাস করছেন। একই বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াতের ‘তেজী’ ছবিতে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা একা। প্রথম ছবিতে সুপার স্টার মান্নার বিপরীতে নায়িকা হন তিনি। কিন্তু প্রথম ছবির সাফল্যের ধারাবাহিকতা ছিল না একার পরবর্তী কাজে। এরপর রূপালী পর্দা থেকে হারিয়ে যান একা। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে ইরিন জামান অভিনয় জগতে আসেন। এ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে সুনাম কুড়ান। ইরিনের অন্য একটি পরিচয় হলো তিনি চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর ছোট বোন। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবির পর কয়েকটি ছবিতে তাকে দেখা গেলেও পরে আর চলচ্চিত্রে স্থায়ী হননি তিনি।

অভিনয়ের পাশাপাশি গায়িকা হিসেবেও বেশ কিছু অ্যালবামে কাজ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে পরিবারসহ প্রবাসেই থাকেন ইরিন জামান। ২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রত্না। সেলিম আজম পরিচালিত এ ছবিতে তিনি নায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন। তবে একই বছর কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ইতিহাস’ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে সবার নজরে আসেন এই নায়িকা। পরবর্তীতে অনেক ছবিতে অভিনয় করলেও অল্প সময়েই হারিয়ে যান চলচ্চিত্রের সম্ভাবনাময়ী এ নায়িকা। এরপর বলতে হয় ‘ম্যাডাম ফুলি’খ্যাত চিত্রনায়িকা সিমলার কথা। যিনি অভিষেক ছবিতেই জিতে নিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৯৯ সালে শহিদুল ইসলাম খোকনের এ ছবির পর পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ছবিতে কাজ করলেও খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি এ নায়িকা। বর্তমানে ভারতের মুম্বইয়ে আছেন সিমলা। সেখানে হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চেষ্টা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর