জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’ভাগ করার বিলে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। এর ফলে রাজ্য ভেঙে তৈরি হচ্ছে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। আগামী ৩১শে অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করবে এই দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরে থাকবে ১০৭ আসনের বিধানসভা। পরে তা বাড়িয়ে ১১৪ করা হবে। ২৪টি আসন খালি থাকবে। কারণ তা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে পড়ছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে কোনো বিধানসভা থাকবে না।
সেটি হবে চণ্ডীগড়ের মতো। উল্লেখ্য, গত সোমবার সংসদে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করা হয়েছে।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আজীবন জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকবে না। তবে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেই থাকবে। তিনি তার ভাষণে মানুষকে নিজেদের সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ার কথাও জানিয়েছেন। এদিকে ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার পর শুক্রবার জুমার নামাজ উপলক্ষে থমথমে ছিল কাশ্মীর উপত্যকা। অশান্তির আশঙ্কা থাকলেও তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ প্রশাসন। গভর্নর সত্যপাল মালিক কারফিউ তুলে নেয়ার কথা বলেছেন। তবে মিডিয়া সূত্রে খবর, বহু জায়গাতেই বিক্ষোভ হচ্ছে। লাদাখেও মানুষ বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ছররা গুলিতে আহত বহু মানুষ। তবে ব্যাপক কোনো হিংসার খবর জানা যায় নি। মানুষের মধ্যে যে যথেষ্টই ক্ষোভ রয়েছে তা মিডিয়ার খবরে উঠে এসেছে। রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজি মুনীর খান এদিন বলেন, জম্মুতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কাশ্মীরের পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।