ইস্তাম্বুলে সুখস্মৃতি ছিল লিভারপুলের। এতে ছিল লিভারপুলের গোলরক্ষকের বীরত্বগাথা। এবার গল্পটায় যুক্ত হলো আরো এক অধ্যায়। এতেও নায়ক অলরেডদের গোলরক্ষক। উয়েফা সুপার কাপে চেলসিকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। ইস্তাম্বুলে দু’দলের ১২০ মিনিটের লড়াই শেষ হয় ২-২ সমতায়। টাইব্রেকেও এক পর্যায়ে চলছিল ৪-৪ সমতা। লিভারপুলের পঞ্চম শটে মোহাম্মদ সালাহ লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-৪এ।
আর চেলসির শেষ শটে তরুণ স্ট্রাইকার আব্রাহামের প্রচেষ্টা রুখে দেন লিভারপুলের নতুন রিক্রুট স্প্যানিয়ার্ড গোলরক্ষক আদ্রিয়ান।
তুরস্কের এই শহরেই ২০০৫ চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল লিভারপুল। ম্যাচের একপর্যায়ে পরিষ্কার ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল ৩-৩ সমতা শেষে ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকে। সেখানে লিভারপুলকে জয় এনে দেন গোলরক্ষক জের্জি দুদেক। এ পোলিশ গোলরক্ষক এসি মিলানের ইউক্রেনিয়ান ফরোয়ার্ড আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর পেনাল্টিটা ঠেকিয়েছিলেন পা দিয়ে। সে ম্যাচটি ইতিহাসে তকমা পেয়েছে ‘মিরাকল অব ইস্তাম্বুল’। তুরস্কের এ শহরেই লিভারপুলকে উয়েফা সুপার কাপ জেতালেন আরেক গোলরক্ষক আদ্রিয়ান। চেলসির শেষ শটটি তিনি ঠেকান পা দিয়েই।
ইস্তাম্বুলে এবারের অল ইংলিশ উয়েফা সুপার কাপ দ্বৈরথের শুরুতে এগিয়ে যায় ইউরোপা লীগ জয়ী চেলসি। ৩৬তম মিনিটে গোল আদায় করেন চেলসির ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে গোল নিয়ে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান সাদিও মানে। ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতা শেষে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। ৯৫তম মিনিটে দারুণ শটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল পান সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড মানে। ১০১তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনহোর পেনাল্টি গোলে সমতায় ফেরে চেলসি।