বাংলাদেশ থেকে আবাহনী লিমিটেড, নবাগত বসুন্ধরা কিংস ও আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর নাম আগে থেকেই চূড়ান্ত ছিল। বিদেশি ৫ ক্লাবের মধ্যে কলকাতার জনপ্রিয় দুই ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগানের সঙ্গে কলকাতা মোহামেডানের আনুষ্ঠানিক সম্মতি পাওয়া গেছে ঈদের আগে। বাকি দুই বিদেশি ক্লাব মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ও থাইল্যান্ডের ট্রু ব্যাংকক ইউনাইটেড এফসি। ৪ দেশের এই ৮ দল নিয়ে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৮ থেকে ৩০শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। বরাবরের মতো আসরের সবকটি ম্যাচই হবে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে।
এদিকে ঘরের মাঠের এই আন্তর্জাতিক আসরে ঢাকা মোহামেডানকে আমন্ত্রন না জানিয়ে ক্লাবটিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে মনে করছেন ক্লাব কর্মকর্তারা। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের দুটি দল মোহামেডান ও আবাহনী ঐতিহ্যবাহী। শেখ কামালের নামের এতবড় টুর্নামেন্টে এই দুই দলের খেলা উচিত।
আমরা প্রথম আসরে খেলেছিলাম। আমি মনে করি, মোহামেডান ও আবাহনীর মতো দুটি দল থাকলে টুর্নামেন্টে দর্শক বাড়বে, আকর্ষণও বাড়বে। তবে এবার টুর্নামেন্ট নিয়ে আয়োজকরা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। বাংলাদেশে এতবড় একটা টুর্নামেন্ট হচ্ছে অথচ মোহামেডানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা দুঃখজনক।’ মোহামেডানকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রসঙ্গে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের কো-অর্ডিনেটর শাকিল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা মোহামেডান ফুটবল দল এত বড় টুর্নামেন্টে খেলার মতো আপ টু দ্য মার্ক নয়। যে মানের ফুটবল দল এই টুর্নামেন্টে এবার খেলবে, ঢাকা মোহামেডান ফুটবল দল সেই মানের নয়। এই টুর্নামেন্টে খেলার মতো দল না বলেই মোহামেডানকে আমরা বিবেচনায় রাখিনি।’
১৩ দিনব্যাপী ৮ দলের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে প্রাইজমানি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ হাজার ডলার, আর রানার্সআপ দলের জন্য ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী আটটি দলের জন্য অংশগ্রহণ ফি আছে ১০ হাজার ডলার করে। সব মিলিয়ে দৃশ্যমান ব্যয় ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা প্রায় দেড় কোটি টাকা। এর সঙ্গে দলগুলোর যাতায়াত ও পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা খাওয়াসহ আরও ব্যয় তো আছেই। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টের ব্যয় ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত যাবে বলে মনে করেন টুর্নামেন্টের সমন্বয়কারী শাকিল আহমেদ চৌধুরী। টুর্নামেন্টের গায়ে আগাম তকমা লাগিয়ে দেয়া যেতে পারত, ‘ঢাকা-কলকাতা ফুটবল লড়াই’! কিন্তু তা যাচ্ছে না মালদ্বীপ ও থাইল্যান্ডের একটি করে দল থাকায়। তবুও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ নিয়ে অক্টোবরে দুই বাংলা যে মেতে থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়। আর প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্লাবগুলোর মূল দল পাওয়া গেলে চট্টগ্রামে জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্রের নামে টুর্নামেন্টটা যে জমে উঠবে, তাতেও নেই কোনো সংশয়। এই আট দলের মধ্যে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী ছাড়া টুর্নামেন্টে সুখ স্মৃতি আছে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ও ইস্ট বেঙ্গলের। ২০১৭ সালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টিসি স্পোর্টস। আর ২০১৫ সালের প্রথম আসরটা আয়োজকদের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে। সেবার ভারতের ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী।
দলের নাম
সর্বশেষ লীগে তাদের অবস্থান
চট্টগ্রাম আবাহনী (আয়োজক)
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ৮ম
আবাহনী লিমিটেড
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের রানার্সআপ
বসুন্ধরা কিংস
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে চ্যাম্পিয়ন
ইস্ট বেঙ্গল
ভারতের আই লীগে রানার্সআপ
মোহন বাগান
ভারতের আই লীগে পঞ্চম
কলকাতা মোহামেডান
কলকাতা লীগে অষ্টম
টিসি স্পোর্টস
দিভেহি প্রিমিয়ার লীগে চতুর্থ
ব্যাংকক ইউনাইটেড
থাই লীগ ওয়ানে চতুর্থ