ব্যান্ড তারকা ও গীটার লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ। ১৯৬২ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ব্যান্ড এলআরবির মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতকে এগিয়ে নিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। অসংখ্য জনপ্রিয় গান এ ব্যান্ডের মাধ্যমে উপহার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি একক ক্যারিয়ারেও পেয়েছেন আঁকাশছোঁয়া সফলতা। গাওয়ার পাশাপাশি সুরকার হিসেবেও সফল ছিলেন তিনি। তবে উপমহাদেশের কিংবদন্তি গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চু হঠাৎ করেই চিরতরে চলে যান তার অগণিত ভক্ত-শ্রোতাদের কাঁদিয়ে। দিনটি ছিলো গত বছরের ১৮ই অক্টোবর।
গান নিয়ে আরো অনেক স্বপ্ন ও পরিকল্পনা ছিলো আইয়ুব বাচ্চুর। কিন্তু তা আর বাস্তবে রূপ পেলো না। ১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম শীর্ষ তারকা হয়ে উঠলেন প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমে। গিটার হাতে মঞ্চে গাইলে দর্শক কণ্ঠ মেলাতেন তার সঙ্গে। ভক্তরা তাকে নাম দিয়েছিলো ‘বস’। মূলত রক ঘরানার গান করতেন। ব্যান্ড সংগীতের প্রতি তারণ্যের জোয়ারের ধারা ধরে রেখেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তবে শুধু রক বা ব্যান্ডের গানে সীমাবদ্ধ ছিলেন না তিনি। আধুনিক গান, লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। খুব অল্প গান করেছিলেন চলচ্চিত্রে। কিন্তু সেই অল্প কটি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক এবং গায়ক। তার প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। তবে তার সফলতা শুর হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে। এদিকে আইয়ুব বাচ্চুর এলআরবি ১৯৯২ সালে ‘এলআরবি ১’ এবং ‘এলআরবি ২’, বাংলাদেশের প্রথম ডবল অ্যালবাম প্রকাশ করেছিল। তাদের তৃতীয় অ্যালবাম ‘সুখ’ (১৯৯৩) ছিলো অন্যতম ব্যবসা সফল অ্যালবাম। এরপর ধারাবাহিকভাবে অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে কেবল সফলতাই পেয়েছে এলআরবি। ব্যান্ডের বাইরেও আইয়ুব বাচ্চুর অসংখ্য গান পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে, রূপালি গিটার, রাত জাগা পাখি হয়ে, কষ্ট পেতে ভালোবাসি, ফেরারি মন, মাধবী, এখন অনেক রাত, ঘুমন্ত শহরে, বারো মাস, হাসতে দেখো, এক আকাশের তারা, উড়াল দেব আকাশেসহ অসংখ্য গান।