× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) আগস্ট ১৭, ২০১৯, শনিবার, ৬:২৮ পূর্বাহ্ন

বন্ধুত্ব হলো একটি মজার সম্পর্ক। অন্য সব সম্পর্কের মতো বন্ধুত্বে কোনো বস্তুগত দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। বাকি অনেক সম্পর্কের মতো বন্ধুত্বে কোনো আইনি বা পারিবারিক বাধ্যবাধকতাও নেই। আর তাই বন্ধুরা কেউ কারো কাছাকাছি যেতে একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করতে কোনো বাধা মানে না। মানেনি কখনো। সেটা বারবার প্রমাণ হয়েছে।  

ঠিক যেমন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের এসএসসি ২০০৫ ও এইচএসচি ২০০৭ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একাধিক পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানই প্রমাণ করেছে। শিক্ষাজীবনের এই দুই অধ্যায় শেষ করার দীর্ঘকাল অতিক্রমের পরও ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা একে অপরের কাছাকাছি হতে পেরেছেন।
একসময়ের ১৬ কিংবা ১৮ বছর বয়সী তরুণরা এখন পড়াশোনা শেষে ব্যস্ত কর্মজীবনে। তবুও যেখানেই বন্ধুদের পাচ্ছেন মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে সেই স্থানটি। তবে দীর্ঘদিন যোগাযোগ থেকে দূরে থাকা বন্ধুগুলো এক ছাদের নিচে আসতে পেরেছেন কেবলই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে। তাদেরই কারো না কারো উদ্যোগে ফেসবুকে খোলা হয় ‘এসএসসি ২০০৫ ও এইচএসসি ২০০৭ বাংলাদেশ’ গ্রুপ। গ্রুপ খুলতে দেরি নেই। তাতেই হাজার হাজার সদস্য যুক্ত। এ পর্যন্ত গ্রুপটিতে ৪৩ হাজারেরও বেশি সদস্য। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৫ ও ২০০৭ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্ব শেষ করেছেন। গ্রুপ খোলার শুরু থেকেই সবাই যে যার পরিচয় তুলে ধরেছেন। এক পর্যায়ে অচেনারাও চিরচেনায় পরিণত হয়েছেন। অনেকেই আবার একই স্কুলে পড়–য়া বাল্যবন্ধুকে খুঁজে পেয়েছেন এই গ্রুপের মাধ্যমে।

এই ৪৩ হাজার সদস্য শুধু ফেসবুকেই তাদের বন্ধুত্ব সীমাবদ্ধ রাখেননি। দেশের যে প্রান্তে যে যেভাবে পেরেছেন কোনো না কোনোভাবে একত্রিত হয়েছেন। কেউ জেলা পর্যায়ে, কেউ বিভাগীয় পর্যায়ে আবার কেউ বা ছোট্ট পরিসরে কোনো একটি অঞ্চলে ভাগ হয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের মেলবন্ধন অটুট করছেন। শুধু কি তাই, বন্ধুত্বের টানে এক জেলার আমন্ত্রণে ছুটে যাচ্ছেন অন্য জেলায়।

বিশেষ করে ঈদেই এই আয়োজন বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গত দুই ঈদে দেশের বিভিন্ন জেলায় উপজেলায় ব্যাচ ০৫/০৭-এর ব্যানারে শতাধিক পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। সদ্য কোরবানির ঈদে সেই চিত্র পাল্টেছে ভিন্নরূপে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালি, চাঁদপুর, বরিশাল, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বেশকিছু জায়গায় ‘মিট আপ’ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন ০৫/০৭-এর শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ১৬ই আগস্ট সিলেটের আলী বাহার টি এস্টেটে এক মিট আপ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন সিলেটেরই শিক্ষার্থীরা। এক মাস আগে থেকে ফেসবুকে ইভেন্ট খোলার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। সিলেটের বন্ধুরা আমন্ত্রণ জানান দেশের অন্য জেলার বন্ধুদের। আর তাতেই ব্যাপক সাড়া পড়ে। সিলেট মিটআপ-এ যোগ দিতে ঢাকা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম থেকে যোগ দেন অনেকেই। দিনভর আড্ডা, হইহুল্লোড়, ছোটবেলার স্মৃতি চারণ ও গান-বাজনায় মুখর ছিল আলী বাহার টি এস্টেট। আর সেলফিতে একে অপরকে ফ্রেমবন্দি করতে ভোলেননি মোটেও। সিলেট জেলা ছাড়াও এর আশপাশে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ থেকে আসেন ০৫/০৭ ব্যাচের একাধিক সদস্য। এদের সবাই সবার সঙ্গে পরিচিত নন। এই মিটআপ অনুষ্ঠানে এসেই একে অপরের সঙ্গে মেলবন্ধন অটুট করেছেন।

সিলেটের আয়োজকদের পক্ষে আনিস-উল-হক মানবজমিনকে জানান, এই অনুষ্ঠানগুলো সারাদেশেই হচ্ছে। আমরা সেই জায়গা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আয়োজন করছি। এর আগেও শুধু সিলেটকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করি। তাতে আমরা আমাদের ছোটবেলার অনেক বন্ধুকে খুঁজে পাই। নিজেদের পুরনো সম্পর্কটা ঝালাই করার সুযোগ হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও একটি আয়োজন করেছি। সিলেট ছাড়াও ঢাকা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম থেকে আমাদের বন্ধুরা যোগ দিয়েছেন। ভীষণ মজা করছি। এখানে আমি একা আয়োজক নই। আমার সঙ্গে অনেকেই কাজ করেছেন। যাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। আর সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি তাদের প্রতি, যে বন্ধুরা সিলেটের বাইরে থেকে এসে আমাদের এই অনুষ্ঠানকে দারুণভাবে রাঙিয়ে তুলেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর