× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিরাজদিখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিল্ডিং নির্মাণ

বাংলারজমিন

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের মালখানগর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে। ক্ষমতার জোরে বাদীর সীমানার ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে বিল্ডিং নির্মাণ করেছে বিবাদী আ. রহমানের ছেলে শহীদ (৪৫)। এই ঘটনায় মৃত আ. আজিজের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৫০) আদালতে মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের জারিকৃত নোটিশ উভয়পক্ষকে দিয়েছেন সিরাজদিখান থানার এএসআই মো. জহিরুল ইসলাম। নোটিশে উল্লেখ রয়েছে, মালখানগর মৌজার আরএস ক্ষতিয়ান নং-২৯৭, দাগ নং-৫৪৮ ও ৫৪৯ এই দুই দাগে ২৯.২০ শতক জমি বাদীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২য় পক্ষের শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় বিজ্ঞ আদালত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এছাড়া উভয়পক্ষ স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ ও কোনো ক্রমেই নালিশি সম্পত্তিতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অবনতি যাতে না ঘটে। এমতাবস্থায় বিবাদী ইমারত নির্মাণ কার্য পরিচালনা করায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার সম্ভাবনা  রয়েছে।
মামলার বাদী মো. নুরুল ইসলাম জানান, আমাদের কিছু জমি শহীদের নিকট বিক্রি করি, এখন আমাদের অংশের সীমানার ভেতরে সে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন, কারো কোনো বাধাই সে শোনে না। তাই আমি আদালতে মামলা দিতে বাধ্য হই। মালখানগর ইউপি ২নং ওয়ার্ড সদস্য হযরত খান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও মাতবরদের নিয়ে একটা বৈঠকে বসে। সে সময় আমাকে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বললে আমি রাজি হইনি, মাত্র ২০ হাজার টাকায় সমাধান করতে চায় তারা এবং আদালত থেকে মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ দেয় তারা। তারা জোর করে স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়। এরপর আবার নির্মাণ কাজ শুরু করে। আমি তখন থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে দেই। তখন পুলিশ এসে তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বলে। ঈদের পর আবার পুনরায় কাজ শুরু করেছে।
মালখানগর ইউপি ২নং ওয়ার্ড সদস্য হযরত আলী খান জানান, মালখানগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ঘটনাস্থলে এসে জমি মাপের কথা বলেছেন। আমরা মেপে দেখেছি, তবে যে জায়গার মামলা করেছে, সেটার দাগ অন্য। এটা মীমাংসা করা হয়েছে। নুরুল ইসলাম মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে, ২০ হাজার টাকায় সমাধান হয় ও আদালত থেকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল নুরুল ইসলামের। এখন কি অবস্থা আমার জানা নেই। শহীদ জানান, আমি তাদের কাছ থেকে জায়গা কিনেছি। তারা যে সীমানা দেখিয়েছে, সেখাইনেই বিল্ডিং তৈরি করছি। আর যে দাগে মামলা করেছে আমি সে দাগে যাইনি। বিল্ডিং তোলার সময় কোনো বাধা দেয়নি। এখন ব্যাজ উঠানোর ৭-৮ মাস পর সে দাবি করছে তার সীমানায় পরেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারসহ গণ্যমান্যরা মীমাংসা করেছে। নুরুল ইসলাম ২০ হাজার টাকা নিয়ে এখন মামলা না উঠিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিনি। মীমাংসা করায় কাজ করছি। সিরাজদিখান থানার এএসআই মো. জহিরুল ইসলাম জানান, গত ৩ মাস আগে আদালতের নির্দেশনায় নোটিশ করেছি কাজ বন্ধ রাখার জন্য। বর্তমানে শান্তি শৃঙ্খলার লক্ষ্যে শহিদকে ফোনে জানিয়েছি কাজ বন্ধ রাখার জন্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর