× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জগন্নাথপুরে সরকারি গাছ কেটে নিলেন যুবলীগ নেতা

বাংলারজমিন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের সরকারি সাতটি রেইনট্রি গাছ কেটে নিয়েছেন যুবলীগ নেতা শাকিল। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। গত শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) আওতাধীন জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের জগন্নাথপুরের অংশের বাউরকাপন, শাসননবি ও রতিয়ারপাড়া এলাকায় সড়কের পাশ থেকে সরকারি সাতটি রেইনট্রি গাছ করাত দিয়ে কর্তন করে গাছগুলো কেটে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বলেছেন, গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন আগে স্থানীয় মীরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একই ইউনিয়নের রতিয়ারপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাকিল তার লোকজন দিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে। সরকার দলের নেতা হওয়ায় এলাকার কেউ বাধা প্রদান করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা বদরুল খাঁ বলেন, ঈদের আগে যুবলীগ নেতা শাকিল সরকারি সাতটি বড় সাইজের রেইনট্রি গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। আমরা শাকিলকে জিজ্ঞাস করলাম গাছ কেন কাটেছেন, এ সময় তিনি জানান, ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের নির্দেশে গাছগুলো কাটছেন।
তারপর আমরা আর কোনো কথা বলিনি। এলাকার হাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, সাতটি গাছের আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা শাকিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোনো ধরনের গাছ কর্তন করেনি। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবো। জগন্নাথপুরের এসিল্যান্ড ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরকারি গাছ কাটার জন্য আমরা কেউকে অনুমতি দেইনি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজফুজুল আলম মাসুম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরকারি সম্পদ লুটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে গতকাল সুনামগঞ্জের বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জেলার বন ও পরিবশ বিভাগের বাগান তদারক কর্মকর্তা মো. অকিল আলী জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর