× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশের মাটিতে মঈনুল ও তানিয়ার লাশ

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) আগস্ট ১৮, ২০১৯, রবিবার, ১:১০ পূর্বাহ্ন

কলকাতায় গাড়িচাপায় নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ দেশে পৌঁছেছে। আজ বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিএসএফ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুই দেশের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার লাউডন স্ট্রিটের কাছে গাড়িচাপায় মৃত্যু হয় গ্রামীণফোনের রিটেইল সাপোর্ট ম্যানেজার কাজী মুহাম্মদ মঈনুল আলম (৩৬) ও সিটি ব্যাংকের ধানমণ্ডি শাখার সিনিয়র অফিসার ফারহানা ইসলাম তানিয়ার (২৮)।

একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ সকালে তাদের লাশ বেনাপোল চেকপোস্টে নিয়ে আসা হয়। পরে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কফিন বুঝিয়ে দেয়া হয় অপেক্ষায় থাকা স্বজনদের কাছে।  

পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ জানান, কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে তানিয়ার লাশ বুঝে নেন তার চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন। আর ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে মঈনুলের লাশ তার চাচাতো ভাই জিহাদ আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কলকাতার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাতে একটি জাগুয়ার তীব্র গতিতে  শেক্সপিয়ার সরণি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাচ্ছিল।
লাউডন স্ট্রিটের কাছে সেটি একটি মার্সিডিজকে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ট্রাফিক পুলিশের একটি পোস্টে ঢুকে পড়ে।

মঈনুল, তার চাচাত ভাই মো. শফী রহমত উল্লাহ এবং তানিয়া তুমুল বৃষ্টির মধ্যে ওই পুলিশ পোস্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাড়িটি মঈনুল ও তানিয়াকে চাপা দেয়। শফীও আঘাত পান। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মঈনুল ও তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়,  চোখের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন মঈনুল। তার সঙ্গে থাকা শফী বলেন, ওই পুলিশ পোস্টে দাঁড়িয়ে তারা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি গাড়ি উল্টে এসে তাদের ওপর পড়ে। ওই ঘটনায় কলকাতার নামি রেস্তোরাঁ আরসালান-এর মালিকের ছেলে পারভেজ আরসালানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর