বন্দরে ভাসমান দোকান থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে পুলিশ সোর্স শামীমকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। শনিবার রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় সাবদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোর্স শামীমকে আটকের পর পালিয়ে যাওয়া পুলিশের দুই এএসআইকে গতকাল প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত দুই সহকারী উপ- পরিদর্শকের নাম আমিনুল ও আনোয়ার। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে বন্দরের কালাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অস্থায়ীভাবে দোকানপাট গড়ে উঠে। এসব দোকানপাট থেকে বন্দর থানা পুলিশের এএসআই আমিনুল ও আনোয়ারের সোর্স শামীম ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে দিয়ে প্রতিদিনই টাকা উত্তোলন করতো। প্রতিদিনের মতো এএসআই আমিনুল ও আনোয়ার এবং সোর্স শামীম শনিবার রাত ৮টার দিকে সাবদী এলাকার ওই দোকানগুলো থেকে টাকা তুলতে যায়।
এসময় এলাকাবাসী শামীমের পরিচয় জানতে চাইলে তখন শামীম নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়। উপস্থিত লোকজনকে সোর্স শামীম পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এএসআই আমিনুল ও আনোয়ার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। এ খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ সোর্স শামীমকে উদ্ধার করে থানা হাজতে আটক করে রাখে। গতকাল আটক পুলিশ সোর্স শামীমের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেছে। এবং দুই পুলিশের এএসআই আমিনুল ও আনোয়ারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ভাসমান দোকান থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে পুলিশ সোর্স শামীমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিয়মিত মামলায় সোর্স শামীমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।