ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৭ম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাঁতমণ্ডল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষক একই গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৮)। ধর্ষিতার খালা জানান, গত ১৫ই আগস্ট রাত দশটার সময় আমার বোনের মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। ওত পেতে থাকা হৃদয় তার বন্ধুদের সহযোগিতায় তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে হৃদয় মিয়ার ঘরে নিয়ে মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে এলে আবারো ধর্ষণ করে হৃদয়। পরে ধর্ষক হৃদয়ের বন্ধু হাকিম আমাকে ফোন করে বলে আপনার বোনের মেয়ে হাকিমের ঘরে অচেতন হয়ে পড়ে আছে আপনারা এসে তাকে নিয়ে যান। ধর্ষিতার খালা আরো জানান, রাত ১১টার সময় হৃদয়ের ঘরের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করি। এ ঘটনা পুলিশকে না জানাতে আমাদের হুমকি দিচ্ছে হৃয়ের পরিবার। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সহসভাপতি ওহাদুল্লার ভাগ্নে। ধর্ষকের মামা ও আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ওহাদুল্লার সঙ্গে কথা হলে তিনি এ প্রতিবদেককে জানান, ধর্ষণের ঘটনা সত্য। তবে বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে শেষ করব। ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, হৃদয় একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। কিছুদিন আগেও সে বরিশাল থেকে একটি মেয়েকে তুলে এনে জোর করে বিয়ে করে। তার পর যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়িত অত্যাচার করত সে। গ্রামে বহুবার এ নিয়ে বিচার-সালিশ হয়েছে। আমরা এই ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই। নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, ধর্ষিতার পরিবার আমার কাছে এসেছে। এখনো মামলা হয়নি।