× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৫০ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ছিল প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এক বছরে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ধার বেড়েছে ৭.৩৩ শতাংশ। এই খাতে ঋণ কমাতে নানা উদ্যোগের মধ্যেও বিক্রি কমেনি। সুদ ও আসল পরিশোধের পর শুধু গত জুন মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত অর্থবছরে এসেছে ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও যা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়।
তবে অর্থবছর শেষে বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছর ৪৪ হাজার কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিক্রি হয় ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার পেয়েছিল ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ছিল ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ হিসাবে ১ বছরে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি বেড়েছে ৩ হাজার ৪০৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুনে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ছিল ৩ হাজার ২০৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের জুন মাসে ছিল ৩ হাজার ১৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তুলনায় সুদহার বেশি হওয়ার কারণে গ্রাহকরা সঞ্চয়পত্রে বেশি ঝুঁকছেন। ফলে গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে রয়েছে। সরকার সঞ্চয়পত্রে ১১.০৪ ও ১১.৭৬ শতাংশ সুদ দিয়ে থাকে। অপরদিকে কিছু ব্যাংক আমানতের বিপরীতে মাত্র ৩.৪ শতাংশ সুদহারের প্রস্তাব দিচ্ছে। যদিও বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংক বিভিন্ন মেয়াদের স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ৬ থেকে ৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। ফলে সঞ্চয়পত্রের সুদহার তুলনামূলক বেশি থাকায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমানত সংকটে ভুগছে। যদিও ২০১৯-২০ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ব্যাংক খাতে তারল্য সংকটের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ব্যাংক খাতে ৮৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে। তবে খাতটিতে লিকুইডিটি মিসম্যাচ রয়েছে বলে জানান তিনি। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার না কমালেও সুদ আয়ের ওপর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদ আয়ের ওপর আগের কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আর ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে সুদ আয়ের ওপর আগের ৫ শতাংশ করহার বহাল রাখা হয়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। বিদায়ী অর্থবছর সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর