গত মৌসুমে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে জয়হীন ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এর মধ্যে হার দেখেছিল দুটিতে। নতুন মৌসুমেও কোচ উলে গানার সুলশারের শিষ্যদের হতাশা উপহার দিলো উলভস। সোমবার ঘরের মাঠে ম্যানইউর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে পল পগবার পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়েছে ম্যানইউ। গত বছর চারটি পেনাল্টি মিস করেন পগবা। তবে স্পট কিক থেকে গোল করায় শতভাগ সফল মাকার্স রাশফোর্ড। ম্যাচের পর প্রশ্ন উঠেছে, রাশফোর্ডকে রেখে পগবা কেন কিক নিতে গেলেন? তবে দলীয় কোচ সুলশার এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না।
তিনি বলেন, ‘দলে যে দুজন খেলোয়াড় ভালো পেনাল্টি নিতে পারে, তন্মধ্যে পগবা একজন। সে এর আগেও পেনাল্টি থেকে অনেক গোল করেছে। কাজেই তাকে নিয়ে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।’
মৌসুমের প্রথম ম্যাচে চেলসিকে এক হালি গোল দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। উলভসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরুতে লিড নিয়েছিল ‘রেড ডেভিল’ খ্যাত দলটি। ২৭তম মিনিটে ম্যানউইর হয়ে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি মার্সিয়াল। সব প্রতিযোগিতায় এটি তার ৫০তম গোল। মার্সিয়ালের গোলে সরাসরি অবদান রাখেন ইংলিশ তারকা মার্কাস রাশফোর্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় উলভস। ৫৫তম মিনিটে পর্তুগালের রুবেন নেভেসের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে জালে বল জড়ান নেভেস। এরপর ৬৭তম মিনিটে উলভসের ডিবক্সে পগবা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ম্যানইউ। কিন্তু স্পটকিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন এই ফরাসি মিডফিল্ডার। তার শট ঠেকিয়ে দেন উলভসের পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দু’দল। এ নিয়ে ম্যানইউর বিপক্ষে প্রিমিয়ার লীগের শেষ তিন ম্যাচেই শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির গড়লো উলভস। আর সব প্রতিযোগিতায় উলভসের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকলেন কোচ উলে গানার সুলশার। এ দলটির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লীগে ম্যানইউ সর্বশেষ জয় দেখেছিল ২০১২ সালে। স্যার আলেক্স ফার্গুসনের অধীনে সেবার ৫-০ গোলের বড় জয় কুড়ায় রেড ডেভিলরা। প্রিমিয়ার লীগের বড় দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় পায় আর্সেনাল ও লিভারপুল। টটেনহ্যাম-ম্যানচেস্টার সিটি নিজেদের মধ্যে ড্র করে। চেলসিও পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে লেস্টার সিটির সঙ্গে।