× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে মেয়ের জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি খুন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, (কিশোরগঞ্জ) থেকে
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার

 কিশোরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে মেয়ের জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি খুন হয়েছেন। এ সময় শাশুড়ির কোলে থাকা ঘাতক জামাইয়ের তিন বছর বয়সী শিশু আনন্দ হোসেন বাবার ছোরার আঘাতে আহত হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের দানাপাটুলী পশ্চিম পাড়ায় নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ ঘাতক মেয়ের জামাই হাবিবুল ইসলাম (২৫)কে আটক করেছে। ঘাতক হাবিবুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত কালাম উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে নিহতের নাম মোসা. হালিমা খাতুন (৫০)। তিনি দানাপাটুলী পশ্চিমপাড়ার সৌদি প্রবাসী মো. সায়াম উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৭/৮ বছর আগে দানাপাটুলী পশ্চিমপাড়ার মো. সায়াম উদ্দিনের মেয়ে অরুনার সঙ্গে হাবিবুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
হাবিবুল মাদকসেবী হওয়ায় বিয়ের কিছু দিন পরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সে নেশা করে এসে প্রায়ই স্ত্রী অরুনাকে মারধর করতো। এর মধ্যেই বছর তিনেক আগে অরুনার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। কিন্তু হাবিবুল ইসলামের কোনো পরিবর্তন নেই। স্ত্রী অরুনাকে মারপিট আর নির্যাতনই যেন তার অভ্যাসে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অরুনা কিছুদিন আগে বাবা সায়াম উদ্দিনের বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু স্বামী হাবিবুল ইসলাম কিছুদিন পর পর নেশা করে শ্বশুরবাড়িতে এসে গালাগালি করতো। গতকাল দুপুরের দিকে সে শ্বশুরবাড়িতে এসে শাশুড়ি হালিমা খাতুনের ওপর চড়াও হয়। সঙ্গে আনা ছোরা দিয়ে সে শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় শাশুড়ির কোলে থাকা হাবিবুল ইসলামের তিন বছর বয়সী শিশু আনন্দ হোসেনও ছোরার আঘাতে রক্তাক্ত হয়। পরে শাশুড়িকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় জনতা তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় হাবিবুল ইসলাম কয়েকজনকে আঘাত করে আহত করলেও জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সে আটক হয়। পরে রক্তাক্ত হালিমা খাতুন ও তার নাতি আনন্দকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আনন্দকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘাতক হাবিবুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ছাড়া নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর