ঢাকায় পৃথক ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। কদমতলী থানার ধোলাইপাড় বাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাগ্যকুল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ওলিউল ইসলাম (১৫) নামে এক কর্মচারীর ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে সাগর (৩০) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ওলিউলের সহকর্মী সোহেল বলেন, তারা দু’জনেই ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে কাজ করতেন। গতকাল ভোরবেলা ওলিউর পানির মোটরের সুইচ চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে গেলে সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরের ঢামেকেই তার ময়নাতদন্ত করা হয়। নিহতের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার জালাল মুন্সীর ছেলে। বর্তমানে সে ধোলাইপাড় শেখপাড়া এলাকায় থাকত।
এদিকে মোহাম্মদপুরের একটি নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সাগরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ৯ টায় মোহাম্মদপুর চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকার ৬ নম্বরে রোডে এ ঘটনা ঘটেছে। মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোরশেদ বলেন, সকাল ৯টার দিকে ‘৯৯৯’ এর একটি কলের মাধ্যমে জানতে পারি চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে একজন শ্রমিক পড়ে গেছেন। পরে সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখি। সাগরের বন্ধুর বড় ভাই হাসনাইন বলেন, সকালে চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকার একটি বাসায় কাজ করতে যায় সাগর। পরে তার সঙ্গে থাকা সহকারীকে টেবিল আনতে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে সহকারী এসে দেখে সাগর নিচে পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত সাগরের বাড়ি ভোলার কাচিয়ায়। তার বাবার নাম মৃত আবদুল গণি। পরিবার নিয়েই মোহাম্মদপুরের থাকতেন তিনি। পুলিশ জানয়িেছে, সাগরের মৃত্যু কেন হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি কাজ করতে গিয়ে পড়ে গেছেন নাকি কেউ তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।