× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিন্তার কোনো কারণ নেই

ষোলো আনা

সাওরাত হোসেন সোহেল
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

ঘর নেই, নেই থাকার জায়গা। সঙ্গী তাদের চোখের জল। বন্যা আর ভাঙনে দিশাহারা কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভাঙনকবলিত এলাকার অসহায় পরিবারগুলো। এসেছিল বন্যা, সঙ্গে তীব্র ভাঙনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। কেড়ে নেয় শতশত পরিবারের শেষ সম্বল। থাকার স্থান। এখন নেমে গেছে বন্যার পানি। তবে অনেকেই ফিরতে পারেন নি ঘরে।
এই অসহায় মানুষগুলোর স্থান হয়েছে তাঁবুতে। সরকারের দেয়া এ তাঁবুগুলোই এখন তাদের একমাত্র ভরসা।

তাঁবুতে বসবাসকারী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের মুদাফৎ কালিকাপুর এলাকার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, কি আর কমু বাহে, বানের পানি ভেসে নিচে ঘর। আর ভাঙন কাড়ি নিচে থাকার জায়গা। এখন নাই ঘর, নাই থাকার ভিটা। তাই পড়ি আছি অন্যের জায়গাত আর থাকি তাঁবুর ভেতরত।

কিন্তু চিন্তা আছে তাদের মাঝে। ফেরত দিতে হবে এই তাঁবুগুলো। মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হাসিনা বলেন, ঘর করার পয়সা নাই থাকার জায়গা নাই। সরকারি তাঁবুগুলোও ফেরত দেয়া লাগবে। তখন হামরা কোটে যামো। থাকার লাগবে খোলা আকাশের নিচোত। একই কথা জানান- রমনা খড়খড়িয়া এলাকার শহিদুল, আজিজুর, আহেকুলসহ অনেকে। ইতিমধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান তা ফেরত দিতে বলেছেন। তবে অসহায় মানুষগুলো যতদিন অসহায় অবস্থায় থাকবেন ততদিন তারা এই তাঁবু ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্যা ও ভাঙনকবলিত মানুষের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে তাঁবু। চিলমারী উপজেলায় এখনো ঘরবাড়ি হারা নিঃস্ব অনেক পরিবার তাঁবুতে বসবাস করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলায় ১৩০টি তাঁবুু বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৭০টি বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. কোহিনুর রহমান বলেন, বন্যা ও ভাঙন এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁবু দেয়া হয়েছিল তা ফেরত যোগ্য। তবে যারা অসুবিধায় আছেন তারা যতদিন পর্যন্ত ঘর ও থাকার ব্যবস্থা করতে না পারেন তারা তা ব্যবহার করবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, যাদের থাকার স্থান নাই সরকার তাদের জন্য আশ্রয়ণ করছে এবং যাদের জায়গা আছে ঘর নাই সরকার তাদেরও ঘর করে দিচ্ছেন। এ ছাড়াও তাৎক্ষণিক সমস্যার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাই চিন্তার কোনো কারণ নাই। তিনি আরো জানান, যারা এখনো তাঁবুর উপর ভরসা করে আছেন তাদের থাকার ব্যবস্থা করাসহ ঘর দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর