× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকার বাইরে অ্যালবোপিকটাস মশা বেশি /ডেঙ্গু রোগী একদিন কমেতো পরের দিন বাড়ে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্তদের সংখ্যা একদিন কমেতো পরের দিন বাড়ে। তবে রাজধানী ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকায় এডিস মশার ইজিপ্টি প্রজাতির প্রকোপ থাকলেও বাইরে শুধু এডিস ইজিপ্টি নয়, অধিকাংশই আক্রান্ত হচ্ছে অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশার কামড়ে। এমনই তথ্য দিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৬৩৪ জন। ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে ২৩৭ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৫১৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৯ হাজার ৩৬৭ জন।
তবে  বেসরকারি হিসাবে এটা  কয়েকগুণ বেশি। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৬ হাজার ১৪১ জন। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩ হাজার ২৯ জন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ১ হাজার ৩৫৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৪ জন। ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই লোক মারা যাচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত  হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি  মাসের ১২ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ হাজার ২৭০ জন,  আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৫ জন, জুলাই মাসে ১৬ হাজার ২৫৩ জন,  জুনে ১ হাজার ৮৮৪ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন, মার্চে ১৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ জন এবং জানুয়ারিতে ৩৮ জন ভর্তি হন।

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে অ্যালবোপিকটাস মশা:রাজধানীর বাইরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকায় এডিস মশার ইজিপ্টি প্রজাতির প্রকোপ থাকলেও বাইরে শুধু এডিস ইজিপ্টি নয়, বেশির ভাগই আক্রান্ত হচ্ছে অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশার কামড়ে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে সমপ্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একাধিক টিম বরিশাল, মেহেরপুর ও যশোরে জরিপ চালায়। জরিপ বিশ্লেষণ করে এডিস ইজিপ্টির পাশাপাশি অ্যালবোপিকটাস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ডেঙ্গুর প্রাথমিক বাহক এডিস ইজিপ্টা আর দ্বিতীয় পর্যায়ের বাহক এডিস অ্যালবোপিকটাস। আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা বলেছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে গ্রামকেও শহরের মতো গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি জানান, এডিস ইজিপ্টি প্রজাতির মশা হিংস্র প্রকৃতির। এটি একসঙ্গে বেশ কয়েকজনকে কামড়ায়। তবে সে তুলনায় এডিস অ্যালবোপিকটাস শান্ত প্রকৃতির। এটি মাত্র একজনকে কামড়ে নিজের রক্তের চাহিদা পূরণ করে। এডিস ইজিপ্টির তুলনায় অ্যালবোপিকটাসের সংক্রমণ ক্ষমতা পাঁচগুণ কম। অধ্যাপক সেব্রিনা আরও জানান, এডিস ইজিপ্টি বাসাবাড়িতে থাকলেও অ্যালবোপিকটস বাঁশের চোঙ্গা, গর্ত, কলাগাছ, কচুগাছ, নারকেল গাছের পরিত্যক্ত ডগায় থাকে। এসব ক্ষেত্রে মশার ওষুধ ছিটানোর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তিনি বলেন, শহরে এডিস মশার প্রজনন স্থলে ওষুধ ছিটালে সেখানে শিশুদের আসার সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু গ্রামে অ্যালবোপিকটস মশা নিধনের উৎপত্তিস্থলে শিশুদের আনাগোনা বেশি। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে ওষুধ দিতে হবে। জানা গেছে, আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আইইডিসিআরের বিজ্ঞানী ও গবেষণা দল বরিশালের ১২০টি পরিবারের মধ্যে ৬টি পরিবারের পানির পাত্রে লার্ভা পায়। ৫৬টি স্থাপনার ১৯টি পানির পাত্রে লার্ভা পাওয়া যায়। এসব লার্ভা থেকে ৭৫৫টি পূর্ণাঙ্গ মশা হয়। তার মধ্যে ১৪টি এডিস প্রজাতির, যেখানে সাতটি অ্যালবোপিকটস। কুষ্টিয়াতে ৭১টি পরিবার থেকে সংগৃহীত লার্ভায় ১৪টি অ্যালবোপিকটস প্রজাতির। এছাড়া মেহেরপুরের গাংনীতে সংগৃহীত লার্ভা থেকে ২৩৭টি মশার মধ্যে ১১৬টি বিভিন্ন প্রজাতির এডিস মশা পাওয়া যায়। ১১৬টির মধ্যে ৭৮টি এডিস অ্যালবোপিকটস ছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর