× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ১ হাজারেও নেই

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

সামপ্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমাগত নিম্নমুখী অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। লন্ডনভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন এ বছর বিশ্বের ১৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তালিকা প্রকাশকরেছে তাতেও উঠে এসেছে সেই একই চিত্র। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা হয়েছে এক হাজারেরও পরে। তবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই এই তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে।

সাময়িকীটি এ বছরের মে মাসেই এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ে আরেকটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। এতে উল্লিখিত এশিয়ার ৪১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি। ফলে দেশের
উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। এবারের তালিকাতেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় এক হাজারের মধ্যে নেই।
কিন্তু পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের আছে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটিতে মানের দিক দিয়ে এ তালিকায় সবার আগে ছিল ব্যাঙ্গালুরোর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির। এমনকি, সন্ত্রাসবাদের থাবায় অস্থিতিশীল হয়ে ওঠা ও বিপর্যস্ত অর্থনীতির দেশ পাকিস্তানেরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে আছে। প্রথম পাঁচ শ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে দেশটির কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, এক হাজারের মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরেছে পাকিস্তানের মোট ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোরের দিকে তাকালে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পেয়েছে শূন্য। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে থাকা বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক নয়। এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে ৫টি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে। এগুলো হচ্ছে- শিক্ষার পরিবেশ, গবেষণার পরিমাণ ও সুনাম, গবেষণার উদ্ধৃতি, গবেষণা থেকে আয় ও আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতা। এতে দেখা যায় আগের বছরগুলোর তুলনায় গবেষণা, উদ্ধৃতি ও আয়ের দিকে এগিয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ২০১৬ সালের পর এর শিক্ষার মান এতটাই নিচে নেমে গেছে যে একে তালিকার এক হাজারেরও পরে ছিটকে ফেলেছে। ২০১৬ সালেও যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় ৬শ’ থেকে আটশ’র মধ্যে ছিল সেখানে পরবর্তী বছরগুলোতে এর অবস্থান ভয়াবহ হারে নিচে নামতে থাকে। গত বছরই এর অবস্থান দাঁড়ায় এক হাজারের পরে।

বিবিসি জানিয়েছে, এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে চীন এবং জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তালিকায় উঠে এসেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ ছাড়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত ইরানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। বরাবরের মতোই এই তালিকায় কর্তৃত্ব করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ বছরের তালিকার প্রথম ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টিই যুক্তরাষ্ট্রের। যার মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ইয়েল ইউনিভার্সিটি।

চতুর্থবারের মতো এ বছরও তালিকায় প্রথম স্থানটি দখলে নিয়েছে বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি। আর দশম স্থানে রয়েছে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন। তালিকা নিয়ে এক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে যে, বৃটেনের ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ খ্যাত অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটি বরাবরের মতোই খুব ভালো করছে। তবে এর ফলে দেশটির অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনাম ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর