× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফরিদপুরে প্রসূতির পেট থেকে পৌনে ৪ মাস পর বের করা হলো গজ

শেষের পাতা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার

ফরিদপুরে সিজারের তিন মাস ১৮ দিন পর এক গৃহবধূর পেট থেকে অপারেশন করে বের করা হলো গজব্যান্ডেজ। গৃহবধূ বর্তমানে শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার দ্বিতীয় অপারেশন সম্পন্ন হয়। গৃহবধূর নাম ফরিদা বেগম। তিনি সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী।

গৃহবধূর স্বজনেরা জানান, এ বছরের ২৫শে মে ওই গৃহবধূর প্রসবজনিত অসুস্থাবস্থায় শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের সাফা মক্কা ক্লিনিকে ভর্তি হন। ওই দিনই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস তার সিজার করেন। কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দিলেও শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন না ফরিদা।
বাড়ি যাওয়ার পর ক্রমেই পেটের ভিতরে ব্যথা অনুভব হতে থাকে। সম্প্রতি ওই ব্যথা প্রকট আকার ধারণ করলে একই এলাকার হ্যাপী ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্বজনরা। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আলট্রাসনোগ্রাম করলে পেটের মধ্যে গজব্যান্ডেজের উপস্থিতি লক্ষ্য করে। গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ফের অপারেশন করে পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি পরিমাপের এক টুকরো গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধার করা হয়। অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক ডা. স্বপন কুমার মোবাইলে জানান, অসুস্থ এক রোগীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে, বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে পেটের মধ্যে গজব্যান্ডেজ থাকায় ইনফেক্সন হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

এদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস তাৎক্ষণিক কথা বলতে চাননি। তবে মোবাইলে তিনি ওই রোগীর সিজার করেছিলেন কি না তা স্মরণ নেই বলে জানান।
অপরদিকে সাফামক্কা ক্লিনিকের পক্ষ থেকেও কেউ কথা বলতে চাননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর