× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাবা ও বন্ধুকে পিষে হত্যা /আলভী কাতরাচ্ছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভিক্টর

প্রথম পাতা

শুভ্র দেব
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার

তিনদিনের মাথায় দু’জনকে পিষে হত্যা ও আরেকজনকে মারাত্মকভাবে আহত করার পরও ঢাকার সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভিক্টর পরিবহন। গতকাল ঢাকার গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, মৌচাক রামপুরা এলাকায় ঘুরে ভিক্টর পরিবহণের অন্তত অর্ধশতাধিক বাসকে আগের রুটেই চলতে দেখা গেছে। আলোচিত দুই ঘটনার পরও এই কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আদৌ নেয়া হবে কিনা তাও কেউ বলতে পারছে না। এছাড়া ভিক্টরের পক্ষ থেকে দুই নিহত পরিবারকেও কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি। এমনকি ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে তারা কোন যোগাযোগই রাখছেন না। পুলিশ বলছে মামলার তদন্ত চলছে। যদি এ ঘটনার সঙ্গে ভিক্টর পরিবহণের দায় পাওয়া যায় তবে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে।


এর আগে চলতি বছরের ১৯শে মার্চ ঢাকার নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর শিক্ষার্থী আবরার আহেমদ চৌধুরীকে হত্যা ও গত বছরের ২৯শে জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম ও আব্দুল করিম রাজিব নিহত হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওই দু্‌ই কোম্পানির রুট পারমিট বাতিল করেছিল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ৫ই সেপ্টেম্বর উত্তরার ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের সামনে সংগীত পরিচালক পারভেজ রবকে চাপা দেয়া ভিক্টর বাসের সেই ঘাতক চালককে গ্রেপ্তার করতে পারে নাই পুলিশ। ঘটনার ১০দিন পরও পুলিশ বলছে, ঘাতক চালককে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ৭ই সেপ্টেম্বর পারভেজ রবের ছেলে আহত আলভী ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান ছোটন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভিক্টর পরিবহণের ঘাতক বাসের চালকের রিমাণ্ড শেষ হয়েছে। রিমাণ্ডে ওই চালক পুলিশকে জানিয়েছে, তার হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল। সেই লাইসেন্স দিয়েই সে বাস চালাচ্ছিলো এবং যে বাস চালাচ্ছিলো ওই বাসের ওপর একাধিক মামলা ছিল।

গতকাল নিহত পারভেজ রবের স্ত্রী ও আহত আলভীর মা রুমানা পারভেজ মানবজমিনকে বলেন, রাত হলেই কান্নাকাটি শুরু করে আলভী। বুধবার তাকে ট্রমা সেন্টার থেকে রিলিজ দিয়েছে। এখন রাত ১০টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত তার শরীরে তীব্র যন্ত্রনা থাকে। বিছানা থেকে উঠে বসার কোনো উপায় নাই। বিছানার মধ্যে থেকে সব কিছু করতে হচ্ছে। ভিক্টর পরিবহণের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারা এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা করেনি। থানা থেকে বলা হয়েছে ভিক্টরের মালিককে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ সেদিনও দেখেছি ভিক্টরের মালিক একটি টিভি চ্যানেলে কথা বলেছেন। রুমানা পারভেজ বলেন, আমি এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। স্বামী ও ছেলের বন্ধুকে পিষে মারল। মারাত্বকভাবে আহত হয়ে ছেলে এখন বিছানায় কাতরাচ্ছে। তার চিকিৎসার খরচ, সন্তানের লেখাপড়ার খরচ ও আমাদের খাবার দাবারের খরচ এখন কে জোগাবে?

তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল মোত্তাকীন বলেন, আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। থানায় বাসটি জব্দ করে রাখা আছে। চালককে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে।
আলভীর বন্ধু মেহেদী হাসান ছোটনের বাবা মো. ইউছুব অভিযোগ করে বলেন, মামলা করার সময় আমি বলেছিলাম ভিক্টর পরিবহণের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। কিন্তু পুলিশ শুধু বাসের চালক, সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে। যদি মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা হত তবে তাদের টনক নড়ত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর