ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দলীয় কর্মীরা। ৪০ লাখ টাকায় নেতা হওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। একই দাবিতে গতকাল বেলা ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতি পলাশ ও সম্পাদক রাকিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তারা। সূত্র মতে, শনিবার রাত ১১টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করে শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এসময় ইবি ছাত্রলীগ কমিটিকে অবাঞ্ছিত দাবি করে স্লোগান দেয় কর্মীরা। পরে রোববার সকাল ১০টায় প্রধান ফটক থেকে শিশির ইসলাম বাবু, মাসুদ, লালন ও আরাফাতের নেতৃত্বে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে ‘৪০ লাখের কমিটি, মানি না মানবো না, ‘টাকায় কেনা কমিটি, মানি না-মানবো না’সহ বিভিন্ন স্লোগান শোনা যায়। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দলীয় টেন্টে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী।
এসময় গত কয়েকদিনে শাখা সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ফাঁস হওয়া অডিওর বিষয় তুলে ধরে তারা। সমাবেশে জুবায়ের রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু, তৌকির মাহফুজ মাসুদ, মাইদুল ইসলাম প্রমুখ। তারা দাবি করেন, ‘৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে ইবি শাখার সম্পাদক হয়েছে রাকিব। এমন নেতা ছাত্রলীগের আদর্শকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আবেদন জানাই অতিদ্রুত ইবি শাখার কমিটি বিলুপ্ত করে প্রকৃত ও আদর্শিক কর্মীদের মাধ্যমে কমিটি করা হোক।’ উল্লেখ্য, গত ১৪ই জুলাই ইংরেজি বিভাগের রবিউল ইসলাম পলাশকে সভাপতি ও ফিন্যান্স বিভাগের রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি দেয় শোভন-রাব্বানির কেন্দ্রীয় সংসদ। কমিটি হওয়ার পর থেকেই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নেতা হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়। দুই মাস না যেতেই সেই গুঞ্জনকে সত্যতা দেয় রাকিবের ফাঁস হওয়া কয়েকটি অডিও ক্লিপ। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের পর ইবির কমিটি নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। সদ্য পদ হারানো কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে ইবির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বলে দাবি করে রাকিব। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনি ও রোববার বিক্ষোভ মিছিল করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত কর্মীরা।